নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘটনাক্রমে দুজনই পড়েছেন একই গ্রæপে। দুজনের লড়াইটাও জমেছে বেশ। এখনই অবশ্য জোর দিয়ে কিছুই বলা যায় না, সবে তো শুরু। তবে প্রথম দুই ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে টপকে গেলেন হ্যারি কেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রæপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেও দলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন রোনালদো। কেন তার চেয়েও এগিয়ে দলের জয়ে করলেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক।
রোনালদোর জন্য তো বটেই বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে রিয়ালের জন্যেও ম্যাচটি ছিল চ্যালেঞ্জের। বরুশিয়ার মাঠে যে এর আগে কখনোই জেতেনি রিয়াল। টানা দুই ম্যাচ গোল না পাওয়া রোনালদোর জন্যেও ছিল গোল দিয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ১৫০তম ও রিয়ালের জার্সিতে ৪০০তম ম্যাচ উদযাপনের সুযোগ। দুই লক্ষ্যই পূরণ করেছে ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা। ডর্টমুন্ডের মাঠ থেকে প্রথমবারের মত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে রিয়াল।
পরশু সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ আধিপত্যে স্বাগতিকদের খুব একটা স্বাচ্ছন্দে খেলতে দেয়নি রিয়াল। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে দানি কারবাহালের ক্রস থেকে দুর্দান্ত ভলিতে রিয়ালকে এগিয়ে নেন গ্যারেথ বেল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বেলের সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুন করেন রোনালদো। মিনিট পাঁচেক পর একটি গোল পরিশোধ করে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয় দেন পিয়েরে এমরিক আবেমেয়াং। কিন্তু ৭৯ মিনিটে স্বাগতিকদের সব আশা শেষ করে দেয় রোনালদোর দ্বিতীয় গোল। রিয়ালের জার্সিতে রোনালদোর ছিল এটি ৪১১তম গোল।
এদিন অবশ্য রেফারিকেও ভাগ্যক্রমে পাশে পেয়েছিল রিয়াল। প্রথমার্ধেই নিজেদের গোললাইন থেকে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে দেন সার্জিও রামোস। ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়দের হাজারো আপিল কর্ণপাত করেননি রেফারি। নইলে লাল কার্ডই প্রাপ্য ছিল রিয়াল অধিনায়কের।
এই জয়ে যেন বড় একটা হাফ ছেড়ে বেঁচেছে রিয়াল। সার্জিও রামোসের সুর সেকথায় বলে, ‘দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা জানতাম এই মাঠে আমরা অবশ্যই জয় তুলে নেব, আজ (পরশু) সেই দিনটি আমাদের সামনে এসেছে। ম্যাচটা কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা সবদিক থেকেই নিজেদের প্রমান করেছি। আমরা আমাদের শক্তিমত্তা নতুনভাবে উন্মোচনের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি মনে করি আজকের রাতটা সেই লক্ষ্যের অনেকটাই পূরণ করেছে।’
‘এইচ’ গ্রæপের অপর ম্যাচে হ্যারি কেনের হ্যাটট্রিকে অ্যাপোয়েলকে ৩-০ গোলে হারায় টটেনহ্যাম হটস্পার। রিয়ালের সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে স্পার্সরা। কোন পয়েন্ট না পেয়ে বরুসিয়ার অবস্থান তৃতীয়। স্পার্সদের কাছে প্রথম ম্যাচেও হেরেছিল জার্মান দলটি।
‘এফ’ গ্রæপে কেভিন ডি ব্রæইনের অসাধারণ পারফরমেন্স ও শেষদিকে জ্বলে ওঠা রাহিম স্টারলিংয়ের গোলে ভর করে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টোর সিটি। নিজেদের মাঠে শাকতর দোনেৎস্ককে ২-০ গোলে পরাজিত করে পেপ গার্দিওলার দল। তালিকার শীর্ষেও রয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া শাখতার দুই নম্বরে। নিজেদের মাঠে ফিয়েনর্ডকে ৩-১ গোলে হারানো ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি তৃতীয় অবস্থানে।
জয়ের ধারা অব্যহত রেখেছে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াও। বেন ইয়াদের হ্যাটট্রিকে ¯েøাভানিয়ান ক্লাব মারিবরকে ৩-০ গোলে হারায় সেভিয়া। টানা দুই জয়ে ‘ই’ গ্রæপের শীর্ষে রয়েছে তারা। ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ফিলিপ কুতিনহোর গোলে স্পার্তাক মস্কোর মাঠে হার এড়ানো লিভারপুল (১-১)।
টানা দুই জয়ে ‘জি’ গ্রæপের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে বাসিকতাসও। এদিন তারা বুন্দেসলিগা প্রতিপক্ষ লাইপজিগকে হারায় ২-০ গোলে। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন মোনাকোকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইকার ক্যাসিয়াসের এফসি পোর্তো।
এক নজরে ফল
অ্যাপোয়েল ০-৩ টটেনহাম
ডর্টমুন্ড ১-৩ রিয়াল মাদ্রিদ
বাসিকতাস ২-০ লাইপজিগ
মোনাকো ০-৩ পোর্তো
ম্যান সিটি ২-০ শাখতার
নাপোলি ৩-১ ফিয়েনর্ড
মস্কো ১-১ লিভারপুল
সেভিয়া ৩-০ মারিবর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।