Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোনালদো-নেইমারদের আফ্রিকান পরীক্ষা

গ্রুপ ‘এইচ’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

গ্রুপ ‘জি’
ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া ও ক্যামেরুন
স্পোর্টস ডেস্ক
বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল ব্রাজিল এবারের আসরে গ্রুপ ‘জি’ তে আছে। তাদের সঙ্গে আরও আছে ভøাহোভিচ ও মিলাঙ্কোভিচদের সার্বিয়া। এরিয়াল বল ও পাওয়ার ফুটবলে পারদর্শী দলটি ব্রাজিলের কঠিন পরীক্ষা নেওয়ার অপেক্ষায়। বাকি দুই দল জাকা, শাকিরিদের সুইজারল্যান্ড ও আফ্রিকার পাওয়ার হাউজ ক্যামেরুন। এই চার দলকে নিয়ে এবারের গ্রুপ জি, যা এক কথায় আসরের দ্বিতীয় মৃত্যুকুপ।
আক্রমণের জন্য সব সময়ই সেরা ব্রাজিল তবে তাদের দলের প্রতিটি বিভাগেই কম-বেশি ভারসাময়পুর্ণ ফুটবলার আছে। গ্রুপের সেরা দলতো বতেই একই সাথে এবারের আসরেরও ফেবারিট দল সেলেসাওরা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ১৭ ম্যাচে ১৪টি জয় আর বাকি ৩টা ড্র। লাতিন অঞ্চল থেকে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে তারাই। এই সময়টাই ৪০ গোল দিলেও হজম করেছে মাত্রে ৫টি। কোচ তিতের দলের সবচেয়ে ক্ষ্যরধার তাদের আক্রমণভাগ। নেইমার, অ্যান্তোনিও, ভিনিসিয়ুস, রিচার্লিসন, জেসুসু সহ একগাদা তারকা আক্রমণে। পরিসঙ্ক্যান বলে হাই প্রেসিং দল সেমন, জার্মানি, স্পেন বা নেদারল্যান্ডসের মত দল গুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সমস্যা হয় দলটির। তবে মধ্যমাঠে কাসেমিরো ও ফাবিনিও যদি কিছুটা অতিরিক্ত মনযোগ দেন ডিফেন্সে, তাহলে আসরে ভালো কিছু দিতেই প্রস্তুত সেলেসাওরা।
ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সুইসদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও, খেলার ধরণের কারণে সার্বিয়া এবার কিছুটা এগিয়ে পরবর্তী রাউন্ডের টিকেট পাওয়ার দৌড়ে। দলটির ম‚ল শক্তি আক্রমণ। বিশ্বমানের ফরোয়ার্ডে ঠাসা দলটি। ভøাহোভিচ, মিত্রোভিচ, টাডিচ, জোভিক সবাই সার্বিয়ার। মিলাঙ্কোভিচ ও কস্টিচদের নিয়ে গড়া মিডফিল্ডের ধারও অসাধারণ। দলটির দুর্বলতা রক্ষণ। তাই বড় দলগুলোর সঙ্গে ৫-৩-২ ফর্মেশনে খেলে দলটি।
গ্রæপে ব্রাজিল ও সার্বিয়ার মাথাব্যাথার কারন হয়ে দারাবে সুইজারল্যান্ড। পাওয়ার ফুটবলে পটু দলটি ২০১৮ বিশ্বকাপেও ব্রাজল্কে রুখে দিয়েছিল ১-১ ব্যবধানে। দুই দলের আগের ৯ মোকাবেলায় সেলেসাওদের জয় ৩ ম্যাচ, সুইজদের জয় ২ বার আর ড্র হয়েছে বাকি ৪ ম্যাচ। সবশেষ ৩ ম্যাচে পর্তুগাল ও স্পেনকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাতারে পৌঁছেছে দলটি।
গ্রæপের সবচেয়ে দুর্বল দল ক্যামেরুন। কোয়ালিফায়িং খেলে কাতারে পৌঁছেছে আফ্রিকান দলটি। তার ম‚ল শক্তি দলগত ভাবে খেলা। দেশটির সবচেয়ে বর তারকা ও ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি স্যামুয়েল ইতোর মতে, দলটির দুর্বলতা হঠাৎ করে সবাই বিবর্ন হয়ে যাওয়া। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪১-এ থাকা দলের সবচেয়ে বড় তারকা নাপোলির মিডফিল্ডার আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক।


গ্রুপ ‘এইচ’
পর্তুগাল, উরুগুয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া ও ঘানা
কাতার বিশ্বকাপের শেষ গ্রুপ ‘এইচ’-এ লড়াইয়ের উত্তাপ ছড়াবে পর্তুগাল ও সাবেক ২ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। এই গ্রুপে আরও আছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় দল দক্ষিণ কোরিয়া ও আফ্রিকার জায়ান্ট কিলার ঘানা। তাই এদেরকেও যদি ডেথ গ্রুপের অন্তঃর্ভুক্ত বলা হয়, তাহলে ভুল কিছুই হবে না বটে। পর্তুগাল ও উরুগুয়ের দল দুটি অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে গড়া। আর বাকি দুই দল অপেক্ষায় আছে অঘটন সৃষ্টির জন্য।
এই গ্রæপের সবচেয়ে শক্তিশালী নিঃসন্দেহে পর্তুগাল। আসরে ব্রাজিল, ফ্রান্সের ও ইংল্যান্ডের পর সবচেয়ে বেশি তারকাখচিত দল ফার্নান্দো সান্তোসের পর্তুগালই। কাতারে অষ্টম বারের মত ফুটবলের বিশ্বেমঞ্চে নামতে যাচ্ছে ইউরোপের নেভিগেটরসরা। তবে ক্রিশটিয়ানো রোনালদোতে ভর করেই পঞ্চম বারের মত বিশ্বকাপে নামবে তারা। এটিই হতে যাচ্ছে ৫ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ীর শেষ বিশ্বকাপ। অভিজ্ঞ রোনালদো, পেপে, প্যাট্রেসিওদের সঙ্গে একঝাক তরুণ এবং মেধাবী ফুটবলার প্রতিনিধিত্ব করবে এবার পর্তুগালের হয়ে। জোটা, রাফা ও নেটোর মত উঙ্গারদের অনুপস্থিতির কারণে ফর্মেশনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন সান্তোস। পর্তুগিজদের ঐতিহাসিক ৪-৩-৩ ছক ভেঙ্গে ৪-৪-২ (ম‚লত ৪-১-২-১-২) ছকে দেখা যেতে পারে তাদের। দলের তরুণ তারকাদের মধ্যে আছেন, ব্রুনো, বের্নার্দো, লিয়াও, নেভেস, ডিয়াজ ও নুনো মেন্ডেজ। দলটির তিন বিভাগেই আছে ভারসাম্য রাখার মত ইফেক্টিভ ফুটবলার।
বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের স্কোয়াডে আছে সুয়ারেজ, কাভানি, গোডিন্দের মত অভিজ্ঞ খেলয়াড়। একই সাথে প্রতি বিভাগেই দারউইন, ভালভার্দে ও হেমিনেসের মত তরুণ তারকারা। এই দুই সংমিশ্রণে মাঠ মাতাতে প্রস্তুত উরুগুইয়ানরা। র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৪তম স্থানে থাকা লাতিন দলটি সরে এসেছে তাদের দীর্ঘদিনের ম্যানেজার অস্কার তাভারেজের ছায়া থেকে। এই আসরে তারা দিয়েগো আলনসোর অধীনে খেলবে। এই ৪৭ বছর বয়সী ম্যানেজার মাত্র ১১ মাস আগে দলের দায়িতে নিয়ে ৯ ম্যাচে ৭ বার জেতান দলকে। গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে পর্তুগালের সবচেয়ে বড় বাধা উরুগুয়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় সফলতা এসেছিল ২০০২ বিশ্বকাপে। সেবার নিজেদের ঘরের মাঠে খেলে চতুর্থ হয়েছিল তারা। বিশ্বকাপ আবারও ফিরেছে কোরিয়ানদের মহাদেশে। তাছাড়া কোচ পাওলো বেন্তর অধীনে দারুন করছে দলটি। তাদের একমাত্র দুর্বলতা বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত খেলার সুযোগ না পাওয়া। চোটে থাকার পরঅ দলের সবচেয়ে বর তারকা সন ইউং মিনকে স্কোয়াডে রেখেছেন বেন্তো। কাতারে নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া ঘানা। তবে এবারের বিশ্বকাপের বাদ বাকি দল গুলোর চেয়ে বেশ পিছিয়ে আফ্রিকান দেশটি। তবে ২০১০ আসরে শেষ আটে খেলা দলটি বাকিদের জন্য হতে পারে দুশ্চিন্তার কারণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোনালদো

১১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ