Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মধুখালীতে বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদাতা : মধুখালীতে এক নাগারে ৩ দিন এবং বিরতী দিয়ে একটানা ১সপ্তাহের বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মচিরসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । সরোজমিনে বিভিন্ন স্থান ঘরে দেখা গেছে মৌসুমী অর্থকরি ফসল মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বৃষ্টির পানিতে ডুবে। চাষীরা যে পরিমান টাকা ব্যায় করে মরিচের চাষ করা হয়েছিল তার একচতুর্থাংশও চাষীর ঘরে তোলা সম্ভর হয় নাই এরই মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রাস করে নিয়েছে চাষীর কষ্টের ফসল । মরিচ চাষে ব্যায় করা অর্থ ফেরত না আসায় মরিচ চাষীদের মাথায় হাত। বৃষ্টি না থাকায় মরিচ ক্ষেতের পানি নেমে যাওযায় বর্তমানে মরিচ ক্ষেতের মরিচ গাছ আর অবষ্ঠি নেই প্রায় মরে গেছে।
উপজেলার ব্যাসদী রাশিদা নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মরিচ চাষী তারিকুল ইসলাম জানান দুই একর জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচে মরিচ চাষ করে ছিলেন। আশা করেছিলেন ২ লক্ষ টাকা বিক্রয় হবে সবে মাত্র ২০হাজার টাকা বিক্রয় করেছিনে। প্রায় মরিচ ক্ষেত পানির নীচে অল্প বেচে আছে যাতে খরচও ঘরে আসবে না ।
গাজনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলেশ্বর গ্রামের মরিচ চাষী মো. মঞ্জুর রহমান মোল্যা জানান ৩৫ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছেন প্রায় ২০হাজার টাকা খরচ করে । সব মিলিয়ে প্রায় ১৫/১৬হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন, আশা ছিল ৫০/৬০ হাজার টাকা বিক্রয় হবে কিন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে সব শেষ।
উপজেলার বৈকন্ঠপুর গ্রামের মরিচ চাষী মোঃ জলিল সেক জানান সোয়া দুই একর জমিতে মরিচ চাষ করেছিলেন। চাষে খরচ হয়েছে এয় ৬০/৭০ হাজার টাকা সবে মাত্র ৫০/৬০ হাজার টাকা বিক্রয় হয়েছে লক্ষ্য ছিল ২/৩লক্ষ টাকা বিক্রয় হবে কিন্ত হঠাৎ বৃষ্ঠি হয়েয়ে সব শেষ হয়ে গেছে। আগস্ট- সেপ্টেম্বর ২মাস মাস মরিচের ভরা মৌসুম।
প্রতিদিন প্রায় ৩/৪হাজার মন মরিচ মধুখালী থেকে ঢাকা-খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয় । উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আকরাম হোসেন জানান এ বছর মধুখালী উপজেলায় প্রায় ২হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় ৬৫ হেক্টর জমির মরিচ সম্পূর্ন মরে গেছে আংশিক হয়েছে। মরিচের ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ কটি ১১ লক্ষ টাকা । পরবর্তিতে মরিচ চাষীদের মিষ্টি কুমড়া চাষে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে সঠিক ভাবে কুমড়ার চাষ করতে পারলে মরিচের ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব । যে পরিমান জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে সে পরিমান জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করলে চাষীর ঘরে আসবে আনুমানিক প্রায় ২০ কোটি টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মরিচ, আখ, ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে টানা বৃষ্টিতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মধুখালী


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ