Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিবুতিতে সেনা পাঠাচ্ছে চীন নির্মাণ হচ্ছে সামরিক ঘাঁটি

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আফ্রিকার শিং নামে পরিচিত অঞ্চলের দেশ জিবুতির পথে রওনা হয়েছে চীনের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশের বাইরে এই প্রথম সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে যাচ্ছে চীন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী কয়েকটি জাহাজ দেশ ত্যাগ করে জিবুতির পথে রয়েছে। অপরদিকে, ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জিবুতিতে চীনের সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের এই পরিকল্পনায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে ভারত। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত জিবুতিতে গত বছর থেকে একটি সরবরাহ ঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করে চীন। নির্দিষ্টভাবে সোমালিয়া ও ইয়েমেন উপকূলের সাগরে শান্তিরক্ষা ও মানবিক মিশনে অংশগ্রহণকারী চীনা নৌবাহিনীর জাহাজগুলোতে সরবরাহ অব্যাহত রাখাই এর উদ্দেশ্য। যদিও বেইজিং এটিকে সরবরাহ স্থাপনা বলে অভিহিত করছে, এটি হতে পারে বিদেশে চীনের প্রথম নৌঘাঁটি। গত মঙ্গলবার রাতে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জিবুতিতে একটি সাপোর্ট বেস স্থাপন করতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী জাহাজগুলো চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর ঝানজিয়াং থেকে রওনা হয়েছে। চীনের নৌবাহিনীর কমান্ডার শেন জিনলং জিবুতিতে ঘাঁটিটি তৈরি করার আদেশটি পড়ে শুনিয়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে; তবে কবে থেকে ওই ঘাঁটিটি আনুমানিকভাবে কাজ শুরু করবে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতা ও উভয় দেশের জনগণের অভিন্ন স্বার্থজনিত আগ্রহের ভিত্তিতে ঘাঁটিটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় মানবিক ত্রাণ ও শান্তিরক্ষা, জাহাজগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া ইত্যাদি মিশনে চীনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে এই ঘাঁটিটি। ঘাঁটিটি দেশের বাইরে সামরিক সহযোগিতা, যৌথ মহড়া, সাগরে চীনা স্বার্থের সুরক্ষা ও জরুরি উদ্ধার ও সরিয়ে নেয়ার মতো দায়িত্বও পালন করতে পারবে, পাশাপাশি যৌথভাবে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথের নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারবে। গতকাল বুধবার এক সম্পাদকীয়তে রাষ্ট্রপরিচালিত গেøাবাল টাইমস বলেছে, আনুমানিকভাবে সরবরাহ ঘাঁটি বলা হলেও এটি একটি সামরিক ঘাঁটি। এতে বলা হয়, নিশ্চিতভাবে এটি দেশের বাইরে গণমুক্তি ফৌজের প্রথম ঘাঁটি এবং সেখানে সেনা ঘাঁটিও থাকবে। এটি কোনো বাণিজ্যিক সরবরাহ পয়েন্ট নয়। চীনের সামরিক স্থাপনা চীনের নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার কোনো বিষয় এতে নেই। মাত্র আট হাজার ৯৫৮ বর্গ মাইলের দেশ সুয়েজ খালের রুটে লোহিত সাগরের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রবেশপথের পাশে অবস্থিত। ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়া দিয়ে ঘেরা এই ছোট দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফ্রান্সের ঘাঁটিও আছে। রয়টার্স।



 

Show all comments
  • দিদার ১৩ জুলাই, ২০১৭, ৪:৩১ এএম says : 0
    চীনও আমেরিকার মত হতে যাচ্ছে.....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সামরিক ঘাঁটি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ