Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে ১৮ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি

ওয়াশিংটনের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে বোমা আতঙ্ক

প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে বোমা হামলার হুমকি পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য পুরো স্টেশনটি খালি করে ফেলেছিল পুলিশ। গত বুধবার বিকালের এ ঘটনায় স্টেশনে থাকা একটি সন্দেহজনক প্যাকেটের দিকে পুলিশের দৃষ্টি যায়। কিন্তু প্যাকেটটিতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে স্টেশনে তল্লাশি শেষে সন্দেহজনক কিছু না পাওয়ায় পুলিশ ‘অল-ক্লিয়ার’ ঘোষণা দিয়ে মানুষজনকে ফের স্টেশনে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়। “আমরা কিছুই পাইনি। সব পরিষ্কার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমরা আপনাদের প্রবেশ করতে দিতে পারবো না,” বলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস অ্যামট্রাকের এক কর্মী ঘটনাটিকে ‘ফলস অ্যালার্ম’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, এতে ট্রেনের সূচিতে কিছুটা বিলম্ব ঘটবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানান, স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার একটু পরে হঠাৎ করে মানুষজন দৌড়ে স্টেশনের বাইরে চলে আসে। তারা সবাই আতঙ্কিত ছিল। নিরাপত্তা সতর্কতা জারির পর পুলিশের অন্ততপক্ষে ২০টি গাড়ি, দমকলের একটি ট্রাক, এক অ্যাম্বুলেন্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ফেডারেল প্রোটেকটিভ সার্ভিসের বেশ কয়েকটি গাড়ি স্টেশনটিতে জড়ো হয়। ওয়াশিংটনে চলাচলকারী কমিউটার ট্রেন ও সাবওয়ে সার্ভিসগুলো এই স্টেশন থেকেই পরিচালিত হয়।
এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে এবং এর প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল ও পারস্য উপকূলে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। গত বুধবার প্রকাশিত ‘ইউনিয়ন অব কনসার্ন্ড সাইনটিস্টস’- এর বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়। ‘ইউএস মিলিটারি অন দ্য ফ্রন্ট লাইন অব রাইজিং সি’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্রুতগতিতে বাড়বে। যার অর্থ, কিছু সামরিক স্থাপনার জন্য জোয়ারের পানি দৈনন্দিন দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য নতুন জমি প্রয়োজন হবে। ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্র উপকূলবর্তী সামরিক ঘাঁটিগুলোতে বর্তমানের তুলনায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা দশগুণ বেড়ে যাবে এবং সেগুলোর অন্তত অর্ধেকে দৈনিক জোয়ারের পানি ঢুকবে। প্রতিবেদনে অন্তত ১৮টি সামরিক ঘাঁটি ঝুঁকির মুখে আছে বলে জানানো হয়েছে। এ শতাব্দীতে সেগুলোর মধ্যে ‘কি ওয়েস্ট নেভাল এয়ার স্টেশন’ ও সাউথ ক্যারলাইনার ‘মেরিন কোর রিক্রুট ডিপো’সহ অন্তত চারটি সামরিক ঘাঁটির ৭৫ থেকে ৯৫ শতাংশ মাটি সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পেন্টাগন এরই মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি জনিত ঝুঁকির বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুতির জন্য আরও গবেষণা ও নজরদারি প্রয়োজন বলে তারা মনে করছে। যদিও গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স কমিটি পেন্টাগনের জলবায়ু অভিযোজন কৌশলের জন্য বরাদ্দ তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে একটি বিল পাস করেছে। বিবিসি, রয়টার্স, এপি, এএফপি ও আলজাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে ১৮ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ