Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সৌম্যতেই আস্থা! ইমরুলে কেন নয়?

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইমামুল হাবীব বাপ্পি : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনাল খেলল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেটর যা বড় ধরনের এক সাফল্য। কিন্তু সাফল্যের এই জয়গানে ব্যক্তিগত ব্যর্থতা তো ঢাকা যাবে না। আসর জুড়েই বোলিংয়ের দূর্বলতা যেমন ছিল স্পষ্ট তেমনি তরুণ ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন ব্যর্থ। তবে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করতে পেরেছেন কেবল একজনই- সৌম্য সরকার।
এ কারণে তাকে নিয়ে গণমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কম সমালোচনা হয়নি। তবে সেই সমালোচনা যতটা না ধারাবাহীক ব্যর্থতার পরও বার বার সৌম্যের দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে, তার চেয়েও বেশি তারই স্থানে কালেভদ্রে দলে উদয় হওয়া ইমরুল কায়েসকে নিয়ে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর সেমিফাইনালে সৌম্যের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করছিল টাইগার ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু ওই দিনও ব্যাটে বলের মাখামাখিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অবশ্য ব্যাট হাতে ফর্মে ফেরার একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সৌম্য। দুর্বল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৮৭* রান। এরপর পাঁচ ম্যাচে মাত্র একবারই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন, ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮। বাকি চার ইনিংসে দুটি করে শূন্য ও তিন রানের ইনিংস। অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই ওপেনার ৪ ম্যাচে করেছেন ৮.৫ গড়ে মাত্র ৩৪ রান!
এরপর সৌম্যকে নিয়ে সমালোচনার যে জোয়ার ওঠে তার পরিপেক্ষিতে কথা বলতেই হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে। সৌম্যের জন্য সুসংবাদ হলো, এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার পরেও নির্বাচকদের পাশে পাচ্ছেন তিনি। তার উপর থেকে এতো তাড়াতাড়ি নির্বাচকরা আস্থা হারাতে চান না উল্লেখ করে নান্নু বলেন, একজন ক্রিকেটারকে এক টুর্নামেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন না করে পুরো বছরের পারফরম্যান্স দিয়ে মূল্যায়ন করা উচিত।
নান্নু বলেন, ‘সৌম্য সরকার একদম ভালো খেলছে না এটা আপনি বলতে পারেন না। কারণ ব্যাক টু ব্যাক টুর্নামেন্ট হয়েছে। আয়ারল্যান্ডে ও কিন্তু ভালো খেলেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হয়তো পারেনি। একটা খেলোয়াড়কে এভাবে মূল্যায়ন করা উচিত নয়, পুরো বছরের পারফরম্যান্স দেখা উচিত।’ বাংলাদেশ দলের সাবেক খেলোয়াড় সৌম্য বন্দনায় বলেন, ‘হয়তো ওর ট্যাক্টিক্যালি কিংবা মানসিকভাবে একটু সমস্যা হচ্ছে, যে কারণে রান করতে পারছে না। আমার বিশ্বাস, আগামীতে আমাদের যে ক্যাম্প হবে সেখানে কাজ করে সৌম্য রানে ফিরবে।’
হ্যাঁ, এটা ঠিক হুট করে কারো উপর থেকে আস্থা হারানো উচিত নয়। তবে তার কথার জের ধরেই একটিমাত্র সিরিজ বিবেচনায় না নিয়ে পুরো বছরের দিকে যদি তাকানো হয় তাহলে দেখা যাবে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫ ম্যাচে মাত্র দুটি ফিফটিতে ২৬৭ রান করেছেন সৌম্য, গড় ২০.৫৩। এসময়ে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনবার। হালের ক্রিকেটের সাথে এই পরিসংখ্যান কতটা মানানসই তা একবার ভেবে দেখতে পারেন নান্নু।
মূল্যায়নের প্রশ্নে ভাবনার জগতকে উন্মুক্ত রেখেই আরো একজনকে বিবেচনায় নিতে পারেন নির্বাচক গুরু। সেই তিনি হলেন জাতীয় দলে বার বার উপেক্ষিত ইমরুল কায়েস। ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ রান করার পর প্রথা মেনে আবারো একাদশ থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয় তাকে। অথচ ইমরুলের আগের দশ ম্যাচের পরিসংখ্যানের দিকে তাঁকালেই স্পষ্ট হবে দলে কতটা উপেক্ষিত থেকেছেন এই ব্যাটসম্যান। এসময় একটি সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে ৪৯.৩ গড়ে ৪৯৩ রান করেন ইমরুল। মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হেরে বসেছিল তাতেও ইমরুলের অবদান ছিল ১১২ রান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সৌম্য

২২ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ