Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পথহারা সৌম্য-লিটন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা-বিরতির আগে কী দারুণ ফর্মেই না ছিলেন লিটন দাস! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা নিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচেই তো করেছিলেন লিটন। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ধরে রাখেন দুর্দান্ত ফর্ম। দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ছিল ফিফটি। আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারও ভালো ফর্মে ছিলেন সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
কিন্তু করোনা এসে যেন লিটন-সৌম্যের ব্যাটিংটাই ভুলিয়ে দিল! বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে দুজনের একজনও রানের দেখা পাচ্ছেন না। ওপেনিংয়ে নেমে চার ইনিংস খেলে ফেলেছেন দুজনই। মাহমুদউল্লাহ একাদশের ওপেনার লিটন চার ইনিংসে করেছেন ৫, ২৭, ০ ও ১১ রান। নাজমুল একাদশের ওপেনার সৌম্যেরও করুণ দশা। শেষ চার ইনিংসে তার রান ৭, ৮, ৯ ও ২১।
দুজনের ব্যাটিংয়েই কেমন জানি জড়তা ভর করেছে। গতকাল যেমন তামিম একাদশের বিপক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে সৌম্য আউট হন পেছনে ক্যাচ দিয়ে। লেংথ থেকে অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট লাগিয়ে আউট সৌম্য। সেরা ছন্দে থাকলে এই বলটাকেই হয়তো কাট করে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করতেন সৌম্য। কিন্তু এদিন আউট হলেন শট খেলব নাকি খেলব না, এই দোটানায় পড়ে। আগের চার ইনিংসেও একই রকম দোটানা দেখা গেছে তার ব্যাটিংয়ে।
গত ম্যাচে তামিম একাদশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে লিটনও আউট হন অনেকটা একই ভাবে। লেগ স্টাম্পের ওপর হাফ ভলি বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। ওই বলে সম্ভবত মোস্তাফিজও উইকেট পাওয়ার আশা করেননি। লিটনকে ক্যাচ তুলে দিতে দেখে হেসেই দেন তিনি। অথচ ৭-৮ মাস আগের লিটন ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে এ রকম বাতাসে ভাসানো শট খেলতেন না। বলটাকে মাটিতেই রাখার চেষ্টা করতেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন এভাবেই। গত বিপিএলেও সাড়ে চার শ রান করেন ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ঝুঁকিহীন ব্যাটিং করে। সাবেক ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে কাজ করে ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত রান করার কৌশল খুঁজে পেয়েছিলেন লিটন। বদলে ফেলেছিলেন নিজেকে। কিন্তু লম্বা বিরতির পর আগের ছন্দটা যেন ধরতেই পারছেন না তিনি!
লিটন-সৌম্যর ব্যর্থতার একটি বড় কারণ হতে পারে মিরপুরের উইকেট। গত বিপিএলে উইকেট ছিল এক কথায় দুর্দান্ত। বিপিএলের তিন ভেন্যুর উইকেটই ছিল ব্যাটসম্যান সহায়ক। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তাই। কিন্তু বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে বেশির ভাগ উইকেটই স্বাভাবিক আচরণ করছে না। কিছু বল থেমে আসছে, কিছু আসছে গতিতে। বিশেষ করে নতুন বলে ব্যাটিংটা একটু কঠিনই এ ধরনের উইকেটে।
তবে প্রথম দশ ওভারের চ্যালেঞ্জ উতরে গেলে ব্যাটিং অনেকটাই সহজ হয়ে যায় এখানে। বড় ইনিংসগুলো এসেছে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে। বোলারদের প্রথম দশ ওভার জিততে দিলে মাঝের ওভারে রান তোলা সম্ভব। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিন দলের কোনো টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানই সেটা করতে পারেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পথহারা-সৌম্য-লিটন

২২ অক্টোবর, ২০২০
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ