নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ত্রিদেশীয় সিরিজে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও মেলেনি আশানুরূপ ফল। বিশেষ করে ওপেনিং জুটির সমস্যা রয়েই গেছে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই প্রথাগত ওপেনার নিয়ে বিশ্বকাপ অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সে কারণেই বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান এবং তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু না করেই দলে ঢুকেছেন সৌম্য সরকার।
প্রাথমিক পর্ব দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর দুদিন আগে দলে দুটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সাব্বিরের সঙ্গে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনও। নিউজিল্যান্ডে শুক্রবার শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির ও সাইফ উদ্দিন। তাদের জায়গায় অপেক্ষমান তালিকা থেকে বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য ও বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছে।
এই দুই পরিবর্তনের কারণ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার বলেন, উদ্বোধনী জুটিতে সাব্বিরকে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলানোর চিন্তা কাজে না লাগায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, ‘ওপেনিংয়ের জন্য আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মিলে ভিন্ন কিছুর চিন্তা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত যা কাজে লাগেনি। এখন যেহেতু জিনিসটা কাজ করেনি, তাই আমরা প্রথাগত ওপেনারদের নিয়েই বিশ্বকাপে যাওয়ার চিন্তা করেছি। সৌম্য যে খুব ভালো করেছে, তা বলব না। কিন্তু আমরা এখন চিন্তা করছি যে, অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের প্রথাগত ওপেনার নিয়েই যেতে হবে। যেহেতু আমাদের ভিন্ন চিন্তাটা কাজে লাগেনি তাই আমরা প্ল্যান বি যেটা ছিল যে, নিয়মিত ওপেনার যারা, তাদেরকে নিয়েই বিশ্বকাপে যাব।’
উদ্বোধনী জুটিতে বছরখানেক ধরে চলমান হতাশার সমাধান খুঁজতে মেকশিফট ওপেনার তত্ত্বে পা বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ দল। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে আরব আমিরাত সফর ও ত্রিদেশীয় সিরিজ মিলে মোট চার ম্যাচে ইনিংস শুরু করেন সাব্বির ও মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রায় তিন বছর পর দলে ফেরা সাব্বির ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি। মেকশিফট ওপেনার হিসেবে চার ম্যাচে সুযোগ পেয়ে মাত্র ৮৬.১১ স্ট্রাইক রেটে ৩১ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ২১ বল খেলে ২৭ রান করেন সৌম্য। এছাড়া বল হাতে এক ওভার করে নেন একটি উইকেট।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফের সামর্থ্য বিবেচনায় অনেক চিন্তাভাবনা করেই দলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চোট থেকে ফিরে শতভাগ ছন্দে ফিরতে পারেননি তিনি। তাই তার জায়গায় বাঁহাতি পেসার শরিফুলকে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন হাবিবুল, ‘সাইফউদ্দিনকে আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করে নিয়েছিলাম। ওর অলরাউন্ড সামর্থ্যরে কথা ভেবে। ও অতীতে আমাদের হয়ে ভালো করেছে। কিন্তু ইনজুরি থেকে ফেরার পর ওর ছন্দ ফিরে পেতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা চিন্তা করেছিলাম, যেহেতু একটা মৌসুম খেলেছে প্রিমিয়ার লিগে, ছন্দ ফিরে পেতে পারে। কিন্তু ওকে নেওয়ার পর যতগুলো ম্যাচ দেখলাম, দেখলাম যে ছন্দ ওরকম পায়নি। টিম ম্যানেজমেন্টের মতে, সাইফ শতভাগ ছন্দে নেই। শরিফুল মাঝে স্বাস্থ্যগত কারণে নিজের গতি ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। তবে মাঝে বিরতিটা যে পড়েছে, সেখানে ও দারুণ রিকভার করেছে। তারপর থেকে ফিরে এসে ভালো বোলিং করছে। এখন যেহেতু বিশ্বকাপ চলে এসেছে এবং সামনে আর দেখার সুযোগ নেই। তাই আমরা এ পরিবর্তনটা করেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।