Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাকির-সৌম্যর দিনে তানজিদের আক্ষেপ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকির হাসান। অপর ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মধ্যাঞ্চলের সৌম্য সরকারও। তবে ১০ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে উত্তরাঞ্চলের তানজিদ হাসান তামিমের।

গতকাল রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে ৫ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে পূর্বাঞ্চল। এদিন ৫ উইকেটে ১৯৫ রান তুলেছে তারা। এর আগে ৪২৯ রানে অলআউট হয় দক্ষিণাঞ্চল। আগের দিনের ৬ উইকেটে ২৮৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণাঞ্চল। আগের দিনই সেঞ্চুরির কাছাকাছি আসা জাকির হাসান তুলে নেন তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। ২৭৬ বলে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১৯টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসানের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়েন জাকির। তবে দলটির বড় সংগ্রহের বড় অবদান রাখেন নাসুম আহমেদ। দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে জাকিরের সঙ্গে নবম উইকেটে গড়েন ১০৪ রানের জুটি। ফলে প্রথম ইনিংসে ১৬৯ রানের বড় লিডই পায় দলটি। পূর্বাঞ্চলের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান, এনামুল হক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। অপর উইকেটটি রেজাউর রহমান রাজার।
১৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি পূর্বাঞ্চল। দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ আশরাফুল ওপেনিং জুটিতে গড়েন ৬২ রান। এরপর ২৮ রানের ব্যবধানে ৪টি উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে তারা। এরপর পঞ্চম উইকেটে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। দিনশেষে ৫ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়েছেন আফিফ। ৯৭ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন ইরফান শুক্কুর। দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান।
এদিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ১৭২ রানে পিছিয়ে আছে উত্তরাঞ্চল। এদিন ৫ উইকেটে ১৭২ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। এর আগে ৩ উইকেটে ৫৬৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে মধ্যাঞ্চল। আগের দিনের ২ উইকেটে ৪৩০ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন ১৩৩ রান যোগ করে মধ্যাঞ্চল। মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ মিঠুনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য সরকারও। ১৪৮ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন এ ব্যাটার। এছাড়া সালমান হোসেন ৫৩ ও মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত ৫০ রান করেন।
প্রথম ইনিংসে ৩৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি। ১৯ রানেই ওপেনার পারভেজ আহমেদ ইমনকে হারায় তারা। এরপর তানবির হায়দারের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তানজিদ হাসান। যার সিংহভাগ রানই আসে তানজিদের ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।
ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করা তানজিদ এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ১০ রান দূরেই থামতে হয় তাকে। ১১৭ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯০ রান করেন তিনি। মার্শাল আইয়ুব ২৮ ও মাহিদুল ইসলাম অংকন ০ রানে উইকেটে আছেন। মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ৩৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পেয়েছেন হাসান মুরাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, চট্টগ্রাম
উত্তরাঞ্চল : ২১৯ ও ২য় ইনিংস : ৫৮ ওভারে ১৭২/৫ (তানজিদ ৯০, পারভেজ ১২, তানবীর ১৮, নাঈম ১৮, মার্শাল ২৮*; রবিউল ১/২১-১, মৃত্যুঞ্জয় ১/১৪, মুরাদ ৩/৩৯)। মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১৩০.১ ওভারে ৫৬৩/৩ ডি. (আগের দিন শেষে ৪৩০/২) ১৩০.১ ওভারে ৫৬৩/৩ (সৌম্য ১০৪*, সালমান ৫৩, মোসাদ্দেক ৫০*; নোমান ১/৯৪, সানজামুল ১/১৬৮, নাঈম ১/৬১)।

পূর্বাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, রাজশাহী
পূর্বাঞ্চল : ২৬০ ও ২য় ইনিংস : ৫৩ ওভারে ১৯৫/৫ (ইমরুল ৩৯, আশরাফুল ২৫, আফিফ ৭৩*, ইরফান ১৮*; কামরুল ০/৩৪, নাসুম ২/৬৫, মেহেদি ২/৪৭, নাহিদুল ১/২০)। দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : (আগের দিন ২৮৮/৬) ১১৮.২ ওভারে ৪২৯ (জাকির ১৫৮, মেহেদি ৩২, নাসুম ৫৯; নাঈম ৩/১২৭, মোহাম্মদ এনামুল ৩/৬৯, রেজাউর ১/৬৯, আশরাফুল ৩/৮২)। তৃতীয় দিন থেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাকির-সৌম্য
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ