মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : লন্ডনে মুসলিমরা আবারো সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার পর সহায়তায় এগিয়ে যাওয়ার কারণে এর আগে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন। এবার পশ্চিম লন্ডনের কেনসিংটনে গ্রেনফেল টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের পরও তারা সহায়তা নিয়ে এগিয়ে গেছেন। গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন দেখে তারা প্রতিটি ঘরের দরজায় নক করে সতর্ক করে দেন। খবরে বলা হয়, ঘটনার রাতে মুসলিমদের বেশির ভাগই জেগে উঠেছিলেন সেহরি খাওয়ার জন্য। কিন্তু আগুন দেখে দৌড় শুরু করেন তারা। ছুটে যান এর-ওর দরজায়। নক করে তাদেরকে সহায়তায় ছুটে যাওয়ার আহŸান জানান। খুলে দেয়া হয় মসজিদগুলোর দরজা। সেখানে উদ্ধার করা মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় লোকজনকে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মুসলিম। তাদের ছবি দিয়ে তাই অনলাইন ডেইলি মেইল সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, মুসলিমরা কিভাবে অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। ডেইলি মেইল লিখেছে, স্থানীয় সময় রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে সেহরি খেতে হয়। এ সময় স্থানীয় মুসলিমরা জেগে গিয়েছিলেন। কিন্তু একটার কিছু আগেই তারা দেখতে পান আগুনের শিখা। অমনি শুরু হয় তাদের ছোটাছুটি। তাদের দরজা খুলে দেন দুর্গত মানুষের সেবায়। আল মানার, দ্য মুসলিম কালচারাল হেরিটেজ সেন্টার এক বিবৃতিতে বলেছে, গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাÐে আক্রান্ত যেকারো জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়া হয়েছে আল মানার মসজিদ ও সেন্টার। এখানে যেকোনো ধর্মের, যেকোনো বিশ্বাসের মানুষ এসে বিশ্রাম নিতে পারেন। ঘুমাতে পারেন। পানি পান করতে পারেন। খাবার খেতে পারেন। আল মানারের স্টাফ ও স্বেচ্ছাসেবকরা আক্রান্ত এলাকায় পানি, খেজুর ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করছে। প্রয়োজনে সহায়তার জন্য ফোন নম্বর জানিয়ে দেয়া হয়। আশপাশের সেন্ট ক্লিমেন্টস ও সেন্ট জেমস চার্চও খুলে দেয়া হয়। এগিয়ে আসে শিখ স¤প্রদায়ও। তবে সবার আগে আগুনের উত্তাপ অনুভব করেন মুসলিমরা। কারণ, তারা সেহরি খেতে উঠেই আগুন দেখতে পান। এমনটা বলেছেন নাদিয়া ইউসুফ (২৯)। ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা হয় এক নারীকে। তিনি বলেন, যদি ঘটনাস্থলে এতগুলো মুসলিম যুবক উপস্থিত না হতেন তাহলে তাহলে মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারতো। তারাই সবার আগে পানি হাতে নিয়ে দৌড়ে এসেছেন। লোকজনকে সহায়তা করেছেন। সরিয়ে নিয়েছেন। অন্য লোকদের সহায়তায় এগিয়ে যেতে বলেছেন। তাই আন্দ্রে বারোসো (৩৩) বলেছেন, বিপুল সংখ্যক মানুষকে ওই ভবন থেকে বের করে আনার ক্ষেত্রে মুসলিমরা বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন। সেখানে আমি যত মানুষকে দেখেছি তাদের বেশির ভাগই মুসলিম। তারা খাবার, পোশাক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন। ডেইলি মেইল,ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।