নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ডিউক অব নরফোক একাদশের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটার ফল আসেনি, ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। তবে তার আগে মুশফিক ঝড়ে ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালোই হয়েছিলো বাংলাদেশ দলের। গতকাল হোভের সেন্ট্রাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামেন মুশফিকরা। এবার তাঁদের প্রতিপক্ষ সাসেক্স দ্বিতীয় একাদশ। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠায় স্বাগতিকরা। ভুলটা বোধ করি তখনই করে ফেলে সাসেক্স। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স টফি খেলতে যাবার আগে একে একে নিজেদের ব্যাটে শান দিয়ে রেখেছেন মুশফিক, ইমরুল, সাব্বির, মিরাজরা।
তবে যেহেতু ঝালিয়ে নেওয়ার ম্যাচ, প্রতিপক্ষ সাসেক্স একাদশের হয়ে খেলছেন বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ আর শফিউল ইসলাম। আর বাংলাদেশ একাদশে খেলছেন মুশফিকু, ইমরুল, সৌম্য, তাসকিন, মিরাজ, নাসির, মোসাদ্দেক, রুবেল, সাব্বির, শুভাশিস ও সানজামুল।
স্ত্রীর অসুস্থতার খবর শুনে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দেশে থাকায় এই ম্যাচেও অধিনায়কত্ব করেছেন মুশফিক। বোনের বিয়ে উপলক্ষ্য দেশে থাকায় এ ম্যাচেও খেলা হয়নি সাকিবেরও। আর চোট পুরোপুরি সেরে না ওঠায় বিশ্রামে ছিলেন ওপেনার তামীম ইকবাল।
প্রথম প্রস্তুতিতে ব্যাটিং আগ্রাসনের পর দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও আগ্রাসন ধরে খেলেছে বাংলাদেশ। হোভে টস হেরে ব্যাট করে সাসেক্স একাদশের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৩১৪ রানের সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। টসে হারলেও শুরু থেকে আগ্রাসী ছিল বাংলাদেশ। যাতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেসার ইমরুল। যদিও ৬ রানে ফিরে যান আগের দিন দুর্দান্ত খেলা সৌম্য সরকার। এরপর সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নেন ইনিংস। ৪৫ বলেই পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। বাংলাদেশ শত রান পূরণ করে ১৮তম ওভারেই।
ইমরুলের মতো হাফসেঞ্চুরি করেন সাব্বির রহমানও। যদিও ব্যক্তিগত ৫২ রানে তাকে তালুবন্দি করেন ডাউবার্ন। দুর্দান্ত খেলা ইমরুল অবশ্য ৯২ রানে রিটায়ার্ড আউট হয়ে যান। বাকিদের খেলার সুযোগ দিতেই সেঞ্চুরি পূরণ করা হয়নি ইমরুলের। তার ৭৮ বলের আগ্রাসী ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ১টি ছয়। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মুশফিক অবশ্য এদিন ৪০ রানেই ফিরে যেতে বাধ্য হন। আগের দিন সেঞ্চুরি করে আলো ছড়ালেও এদিন আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। নাসির এই ম্যাচে মাত্র ৬ রানেই ফেরেন সাজঘরে।
২১৬ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস বড় ভিত্তি পায় সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। সোহান ২৭ রানে ফিরে যান সাজঘরে। আর ৩০০ রান পূর্ণ করার সঙ্গে সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেন স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ। ৫২ বলে এই রান পূরণে মেহেদী মারেন ৪টি চার ও ২টি ছয়। শেষ পর্যন্ত মেহেদীর অপরাজিত ৬০ রানে ৯ উইকেটে ৩১৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। মেহেদীর ৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়।
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ৩১৪/৯ (ইমরুল ৯২ (রিটায়ার্ড), সাব্বির ৫২, মুশফিক ৪০, মিরাজ ৬০*, সোহান ২৭) অসমাপ্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।