বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদাতা : বাড়ি সীমানা প্রাচীরকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলার মামুদী গ্রামে সোমবার দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা, বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তঃসত্তা এক নারীসহ উভয় পক্ষের দশ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মামুদী গ্রামের সুরুজ মিয়ার সঙ্গে তার প্রতিবেশি হালিম মিয়ার বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডতা হয়। এ জের ধরে হালিম মিয়ার নেতৃত্বে লিটন মিয়া, আব্দুল হাই, মোহাম্মদ উল্লাহসহ ৮/১০ জনের একদল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়ে সুরুজ মিয়া, তার অন্তঃসত্তা স্ত্রী তানজিলা বেগম, বাবা আব্দুস সামাদ, ছেলে সোহেল মিয়া, সাদ্দাম হোসেনকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেন। এ সময় তাদের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে সুরুজ মিয়ার লোকজন একত্রিত হয়ে হামলা চালিয়ে হালিম মিয়া, আব্দুল হাই, মামুদা আক্তার, গোল রেহেনা ও মোহাম্মদ উল্লাহকে পিটিয়ে আহত করে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সুরুজ মিয়া বলেন, বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়েই তর্কের এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হালিম মিয়ার লোকজন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এদিকে হালিম মিয়া বলেন, আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে সুরুজ মিয়ার লোকজন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।