নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : সুদূর কোরিয়া থেকে এসেছেন বাংলাদেশের সাঁতারের ভবিষ্যত বদলের প্রত্যয় নিয়ে। সেই স্বপ্ন সত্যি করার পথিমধ্যেই নতুন বাধার সম্মুখীন। ফেডারেশনের একজন কর্মকর্তার ব্যবহারে নিদারুণ কষ্ট পেয়েছেন। তাই প্রধান কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথাই জানিয়েছিলেন মার্ক তে গুন। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব এবং ফেডারেশনের বড় কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। সমস্যার সমাধান না হলে একেবারেই ঢাকা ছাড়াবেন তিনি। গতকাল বিওএতে এসেছিলেন তিনি মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু সেখানে শাহেদ রেজাকে না পেয়ে মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দারের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানান পার্ক। তবে তীরে এসে তরী ডুবতে দেয়ার পাত্র নন তিনি। জানালেন, সাঁতারুদের দিকে চেয়ে, তাদের অনুরোধেই থেকে যাবেন বাংলাদেশে।
পার্কের অভিযোগ মতে, সাঁতার ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও কোচ আবদুল হামিদ নাকি বাজে ব্যবহার করছেন তার সঙ্গে। এমনকি সাঁতারুদের নিরুৎসাহিত করাসহ প্রধান কোচের সঙ্গেও নাকি বাজে ব্যবহার করছেন। পার্কের কথায়, ‘আবদুল হামিদ বলে বেড়াচ্ছেন, ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে কোনো পদকই জিতবে না বাংলাদেশের সাঁতারুরা। এটা অবশ্যই সাঁতারুদের নিরুৎসাহিত করা। বলতে গেলে আমি কোনো সাপোর্টই পাচ্ছি না কারো কাছ থেকে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি একজন বিদেশি। অলিম্পিয়ান কোচও। অথচ আমাকে তেমন কোনো সম্মান করে না। উপরন্তু আমাকে সহ্যই করতে পারেন না আবদুল হামিদ।’ প্রচন্ড তাপদাহে সাঁতারুদের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে পার্ক বলেন, ‘আমি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে থাকি। অথচ সাঁতারুরা এই গরমে কষ্ট করছে। তাদের এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছি না। তাই সব বিষয়ে কথা বলতেই বিওএতে গিয়েছিলাম মহাসচিবের কাছে। কিন্তু উনাকে পাইনি। তাই মহাপরিচালকের কাছে সব কিছু জানিয়ে এসেছি।’ অভিযোগে পার্ক আরও বলেন, ‘তৃণমূল থেকে সাঁতারু খোঁজার কার্যক্রম ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’ শুরু থেকেই কোচ হিসেবে আমি কাজ করে আসছি। কিন্ত এখন আমার কোনো মতামতও আমলে নেয়া হচ্ছে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।