নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : গেল ফেব্রæয়ারিতে ভারতে শেষ হওয়া গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে জোড়া স্বর্ণপদক জেতার পর যেন নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন। এবার তারা সেরা সাঁতারুর খোঁজে নেমেছে। আন্তর্জাতিকমানের সাঁতারু বের করে আনতে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে সাঁতার ফেডারেশন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় তারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলা থেকে ৬০ জন প্রতিভাবান সাঁতারুকে তুলে আনবে এবং প্রতিভা অন্বেষণের আওতায় তাদেরকে গড়ে তুলবে ভবিষ্যতের জন্য। এ বাবদ ফেডারেশনের ব্যয় হবে প্রায় সাত কোটি টাকা। ১১ বছর থেকে শুরু করে চারটি বয়স গ্রæপে সাঁতারুরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। কার্যক্রমের ব্যাপক প্রচারের জন্য টিভি বিজ্ঞাপনও তৈরি করা হয়েছে। পরিকল্পনাটা গতানুগতিক পরিকল্পনা মনে হলেও পুরো কার্যক্রমে নৌবাহিনীর সম্পৃক্ততা আশার আলো জ্বালিয়েছে। ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ এই শিরোনামে কর্মসূচীটি শুরু হবে আগামী ১৯ মে থেকে। এদিন মিরপুরস্থ জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি। এ উপলক্ষে গতকাল জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান ও সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিজউদ্দিন আহমেদ রফিজ ও কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়কারী ঢাকা নৌ অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকতা কমডোর সৈয়দ মকছুদুল হাকিম। লিখিত বক্তব্যে এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে ৪৮ জন করে সাঁতারু জেলা পর্যায়ে আনা হবে। এতে করে প্রথম পর্যায়ে ৪৮৯টি উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার সাঁতারু এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এরপর জেলা পর্যায় থেকে ২০ জন সাঁতারু বাছাই করা হবে। এভাবে ৬৪টি জেলা থেকে এক হাজার প্রতিভাবান সাঁতারু বাছাই করে ঢাকায় আনা হবে। প্রথম পর্বে প্রতি জেলার ২০ জন সেরা সাঁতারুকে পদক, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে চ‚ড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬০ জন হতে সেরা ৬০ জন সাঁতারু নির্বাচন করা হবে। এই সেরা ৬০ জন সাঁতারুর প্রত্যেকে পদক, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হবে। তাছাড়া এদের মধ্যে ৪টি ইভেন্টের সেরা ৮ জন নারী ও পুরুষ সাঁতারুকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এভাবে তিনটি পর্বে সর্বমোট ৬৫ লাখ টাকার পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেরা ৬০ জন সাঁতারু সাঁতার ফেডারেশনের অধীনে বিশ্ব মানের গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার ফেডারেশন বহন করবে বলেও জানান তিনি। জেলা পর্যায়ে ১৯ মে ঢাকা থেকে শুরু হয়ে ০২ অক্টোবর মৌলভীবাজার দিয়ে শেষ হবে। কর্মসূচীর ব্যয়ভার মেটাতে সরকারের কাঝে অর্থ সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, এস আলম গ্রæপ, ম্যাক্স গ্রæপ ও প্রতীক গ্রæপসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। সাঁতারের এই বৃহৎ কর্মসূচী বাস্তবায়নে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি পর্যায়ে সাঁতারুদের বাছাইয়ের মূল যোগ্যতা হবে টাইমিং। সাঁতার ফেডারেশন ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রতিটি জেলায় যাবেন এবং প্রতিযোগিতা শেষে সাঁতারুদের তালিকা চ‚ড়ান্ত করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।