মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জলবায়ু নীতি বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশের বিরোধীরা জনসম্মুুখে এর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো, এমনকি আইনি লড়াইয়ে নামারও হুমকি দিয়েছে ট্রাম্পকে। ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্ক এক যৌথ বিবৃতি ইস্যু করে বলেছে, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়ে যাবে। পরিবেশবাদী গ্রæপগুলো ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে একদল আইনজীবী ভাড়া করেছে। অনেকগুলো পরিবেশ সংগঠনের মধ্যে গ্রিন গ্রæপ আর্থজাস্টিস বলেছে, তারা আদালতের ভেতরে এবং বাইরেও ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে লড়বে। তার এ আদেশে আইন এবং বৈজ্ঞানিক বাস্তবতার দিকটি উপেক্ষিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ট্রিপ ভ্যান নোপেন। ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বাড়বে। তবে ট্রাম্পের যুক্তি হচ্ছে, কর্মসংস্থান হ্রাস করে এমন সব বিধিবিধানের ইতি ঘটাতে চান তিনি।
ট্রাম্পের সমর্থকদেরও বিশ্বাস ওবামার জলবায়ু পরিবর্তন নীতির ইতি ঘটানোর মধ্য দিয়ে গ্যাস, কয়লা এবং তেলশিল্পে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এক যৌথ বিবৃতিতে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্কের দুই ডেমোক্র্যাট বলেছেন, ওয়াশিংটন সাড়া দিক আর না দিক, আমরা বিশ্বব্যাপী আমাদের অংশীদারদেরকে নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করে আমাদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে সক্রিয়ভাবে লড়ে যাব। যুক্তরাষ্ট্রের এ রাজ্য দুটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর কঠিন লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও তাদের আছে। বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই এব্যাপারে একমত যে, জ্বালানির উৎস হিসাবে মানুষের তেল এবং কয়লা ব্যবহারের কারণেই জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। যার ক্ষতিকর প্রভাবে বাড়ছে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা, দেখা দিচ্ছে খরা এবং প্রলয়ঙ্করী নানা ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু অর্থনীতিতে ক্ষতির যুক্তি দেখিয়ে ট্রাম্প আগেই জলবায়ু নীতি থেকে সরে আসার কথা বলেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানেও তিনি ২০১৫ সালে ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার অঙ্গীকার করেছিলেন। হোয়াইট হাউস বলছে, নতুন উদ্যোগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জ্বালানি এবং বিদ্যুতকে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও স্বচ্ছ রাখতে সহায়ক হবে। তবে পরিবেশবাদীরা সতর্ক করে বলছেন, এটি ঘরে-বাইরে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।