নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী : ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে সমবেত কণ্ঠে ‘আমরা করব জয়’ গানটা টিম সং হয়ে গেছে। বাংলাদেশ দল যতোবার জিতেছে,ততবারই ড্রেসিং রুমের উৎসবে মাত্রা দিয়েছে এই গানটি। গত পরশু ডেসিং রুমের চার দেয়ালের ভেতরে ক্রিকেটারদের গলায় বেজে ওঠা এই গান ভেসে এসেছে মাঠে, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ থেকে পর্যন্ত শোনা গেছে গানটি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ‘জয় বাংলা’ সিরিজের ট্রফিটি নিয়ে উৎসবটা যেনো থামছেই না। বাংলাদেশ থেকে শততম টেস্ট কভার করতে আসা সাংবাদিকরা পর্যন্ত হয়ে উঠলেন উৎসবমুখর। শততম টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের সাক্ষী হতে পেরে গর্ব অনুভব করা সাংবাদিকরাও ট্রফি হাতে নিয়ে তুললেন একটার পর একটা ছবি ! বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সমর্থন দিতে গাঁটের টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে কলোম্বোতে ছুটে এসেছেন যারা, এই উৎসবে বাদ যাননি তারাও। স্মরণীয় মুহূর্তকে ফ্রেমে বন্দি করেছেন তারা সবাই।
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে যখন বিচ্ছিন্ন ভাবে চলছে উৎসব,মিডিয়ার একটার পর একটা সাক্ষাতকার, তখন ক্লাব স্ট্যান্ড থেকে এক শ্রীলংকান উচ্চশব্দে ইংরেজিতে বার বার বলছেন একটা কথা, ‘ বাংলাদেশের কাছে নয়,আমরা হেরেছি হাতুরুসিংহের কাছে। ও ভাল কোচ,শ্রীলংকা ওকে চিনল না, কদর দিল না। তোমরা ভাগ্যবান, হাতুরুসিংহের মতো একজন কোচ পেয়েছ।’
সাঙ্গাকারার অনুরোধে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের শ্যাডো কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েও হাতুরুসিংহেকে রাখতে পারেনি শ্রীলংকা। শ্রীলংকা ক্রিকেটের সঙ্গে হাতুরুসিংহের সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারনে এই শ্রীলংকানকে রাখা যায়নি বলে নানা মহল ধারনা করলেও গোপন তথ্য দিয়েছেন বিসিবি’র এজ গ্রæপের কোচ হিসেবে ২ বছর দায়িত্ব পালন করা সেনরাত আলভিস ‘ শ্রীলংকার সব ক্রিকেটারকে কলেজ দলে প্রতিনিধিত্ব করে পরবর্তীতে জাতীয় দলে আসতে হয়। কিন্তু হাতুরুসিংহে জীবনে কখনোই কলেজ দলের হয়ে ক্রিকেট না খেলে সরাসরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এ অভিষেক হয়েছে, খেলেছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। এ কারণেই ও যখন শ্রীলংকা দলে খেলেছে,তখন অন্যরা ওকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। তারাই তো পরবর্তী সময়ে শ্রীলংকা ক্রিকেটের কর্নধারন হয়েছে,তাই কোচ হিসেবে হাতুরুসিংহেকে মনে প্রাণে মেনে নিতে চায়নি তারা।’
এদিকে বাংলাদেশ দলের জয়টা যখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র,তখন প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম থেকে অনুশীলন শেষ করে পি সারা ওভালে স্মরনীয় মুহূর্তের সাক্ষী হতে মাশরাফি,সোহান,সানজামুলদের সঙ্গে এসেছিলেন মাহামুদুল্লাহও। তবে সবার চোখে মুখে যখন হাসির ঝিলিক,তখন বড়ই বিষণœ দেখিয়েছে মাহামুদুল্লাহকে। শততম টেস্টের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সংক্ষিপ্ত আসরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারকেই হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়ার আলামত ছিল । বিসিবি সভাপতির হস্তক্ষেপে মাহামুদুল্লাহ টিকে গেছেন সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেটে, কলোম্বো থেকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তে আনতে হয়েছে পরিবর্তন। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের নায়ক এবং পর পর ২ ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহামুদুল্লাহ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোমে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জয়েরও নায়ক। ১৩৪ ম্যাচে ২৮৫৮ রানের এই মালিকের মনোবল ফিরিয়ে আনাটাই এখন মাশরাফির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আশরাফুল,তামীম,সাকিব, মুশফিকুরের পর ৪র্থ বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩ হাজার ক্লাবের সদস্যপদের সামনে দাঁড়ানো মাহামুদুল্লাহকে চাঙ্গা করাটা এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন মাশরাফি‘ খারাপ সময় সবারই যায়। এখনো বাংলাদেশ দলে ওর দেয়ার অনেক কিছুই আছে । ৬ মাস আগেও মাহামুদুল্লাহ দারুণ খেলেছে। মাহামুদুল্লাহ ভালোভাবে ফিরে আসলে তা দলের জন্য ভাল হবে। আমরা পুরো দল তাকে সাপার্ট করব।ও যাতে ভাল অনুভব করে সে চেস্টাটাই আমরা করব।’ নিউজিল্যান্ড সফরে ফলো থ্রুতে ক্যাচ নিতে যেয়ে মাশরাফি আঙুলে পেয়েছেন চোট। সেই চোট কাটিয়ে পুরোপুরি ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে এসেছেন শ্রীলংকায়, তা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টেস্ট দলের অধিনায়ক মাশরাফি‘আমি সেরা ফিটনেস নিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। প্রস্তুুতি ম্যাচ খেলেছি। আরো দুই একটা খেলতে পারলে ভালো হতো। আঙুল নিয়ে এখন কোনো সমস্যা নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।