নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশড়ব উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরে। বাংলাদেশ দলের সবশেষ ওয়েস্ট সফর শেষে তাকে ঘিরে চলতে থাকা সমালোচনা আরও জোরালো হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে সরে যেতে হলো নেতৃত্ব থেকে। আসনড়ব জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন নুরুল হাসান সোহান। নতুনদের সুযোগ দেওয়ার মিশনে এবার ডাক পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে টিম ম্যানেজমেন্টের একটি সভা শেষে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সোহানকে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে পাকাপাকিভাবে নয়, কেবল জিম্বাবুয়ে সফরে অধিনায়ক থাকবেন তিনি। আগামী এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দলনেতা পরে বেছে নেবে বিসিবি। সেই তালিকায় উচ্চকিত এই সফর থেকেই ছুটি নেওয়া সাকিব আল হাসানের নাম। টেস্টের পর তার হাতেই উঠছে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বের ব্যাটনও।
অভিজ্ঞদের না রেখে তরুণদের নিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দল সাজানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, ‘টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে আমাদের কিছু বিষয় ছিল। ক্রিকেট বোর্ডে কয়েক দিন ধরে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে। আপনারা জানেন যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে সেভাবে আমরা উনড়বতি করতে পারছি না। যেহেতু সামনে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে, সে কারণে এটা নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা ছিল ক্রিকেট বোর্ডের।’ জালাল ইউনুস আরও যোগ করেন, ‘আপনারা জানেন যে টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অধিনায়ক ছিলেন। কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছিল অধিনায়কত্ব নিয়ে। সম্মানের সঙ্গে আমরা রিয়াদকে (মাহমুদউল্লাহ) ডেকেছিলাম, টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে আলাপ করেছি। তার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এবার আমরা একটা নতুন দল পাঠাতে চাচ্ছি জিম্বাবুয়েতে। এর মধ্যে কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়ও থাকছে না। আসলে দেখার জন্য তাদের (তরুণদের) পাঠানো হচ্ছে।’
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়ে মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব ক্যারিয়ারের শুরু। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব চোটে পড়ায় সেই সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর সাকিবের আইসিসি নিষেধাজ্ঞার পর স্থায়ীভাবে মাহমুদউল্লাহর হাতে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ৪৩টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জিতেছে ১৬টিতে। হার ২৬টিতে, একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। জয়ের হিসাবে মাহমুদউল্লাহই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তবে নিজের ফর্মে আসে কিছুটা ভাটা। অধিনায়ক হিসেবে ৪৩ ম্যাচের ৪২ ইনিংসে ২৩.০০ গড়ে মাহমুদউল্লাহর রান ৭৮২, স্ট্রাইক রেট ১১২.৬৮, সর্বোচ্চ ৫২। তার আগের ৭৫ ম্যাচে ৬৮ ইনিংসে ২৩.৭৯ গড়ে ১২৬১ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ১২১.৩৬, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান।
জিম্বাবুয়ে সফর থেকে আগেই ছুটি নিয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব। তার পাশাপাশি আরও দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম থাকছেন না টি-টোয়েন্টি দলে। ফলে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকছেন না দলের শীর্ষ পাঁচ তারকার কেউই। তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে থাকলেও জিম্বাবুয়ে সফরের ওয়ানডে দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। পবিত্র হজ পালনের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছুটি নিয়েছিলেন।
জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি দল
মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, পারভেজ হোসেন ইমন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।