নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার এই ইচ্ছার কথা জেনে দলের সবাই চমকে গিয়েছিলেন বলে দেশে ফিরে জানান ওপেনার সাদমান ইসলাম। এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান বলেন, ম্যাচের পরের দিকে মাহমুদউল্লাহর জন্যই ভালো করার তাগিদ কাজ করেছে সবার ভেতর।
একমাত্র টেস্টের সিরিজ শেষে সীমিত ওভারের সংস্করণে না থাকা ক্রিকেটাররা গতকাল সকালে ফেরেন দেশে। সাদমান ছাড়াও ফিরেছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলি চৌধুরী, নাঈম হাসান ও সাইফ হাসান। তবে দুই পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি আর ইবাদত হোসেনকে নেট বোলিংয়ে সহায়তার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে দলের সঙ্গে।
হারারে টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানে এগিয়ে থাকার পর ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে আরও ২৮৪ রান করে ইনিংস ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ টপ অর্ডার থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে আসে সব রান। প্রথম ইনিংসে ২৩ রান করা সাদমান দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ১১৫ রানে। পরে দল জিতেছে বড় ব্যবধানেই। নিজের এই অর্জনকে দেখছেন স্বপ্ন প‚রণের মতো, ‘সব ব্যাটসম্যানেরই তো স্বপ্ন থাকে প্রথম ১০০। ওইরকম প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, আশায় ছিলাম যে ইনশাল্লাহ একদিন হবে। জিম্বাবুয়েতে সেরাটা দিতে পেরেছি তাই একটা ভালো ফল এসেছে। এটা দলের জন্যও ভালো হয়েছে, দল জিতেছে। জয় নিয়ে দেশে ফিরেছি।’
এই টেস্টে বাংলাদেশের শুরুটা হয় বিপর্যয়ে। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশই দেখায় দাপট। শেষ দিনের শেষ সেশনের খানিক আগে আসে জয়। দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার নায়ক মাহমুদউল্লাহ আচমকা নিজের বিদায় বলার পর পুরো ড্রেসিংরুমের আবহ বদলে যায়, সাদমান জানান পরে নিজেদের করণীয় ঠিক করেন তারা, ‘আমরা জানতাম না যে রিয়াদ ভাই এমন কিছু বলবেন। উনি বলার পর আমাদের ভালো করার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল যে ওনার জন্য হলেও ম্যাচটা জিততে হবে। উনি আমাদের দলের জন্য যা করে গিয়েছেন তাই উনার কারণে সবাই একটু মন খারাপ করেছিলাম, যে করেই হোক শেষ ম্যাচটা উনার জন্য খেলতে হবে। সবার ইচ্ছে ছিল শেষ মুহ‚র্তটা ওনাকে উৎসর্গ করব। আমরা সেভাবেই করছি।’
শক্তির বিচারে এমনিতেই জিম্বাবুয়ের থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ। এরমধ্যে স্বাগতিকরা শেষ মুহ‚র্তে পায়নি দলের অন্যতম সেরা দুই তারকা শেন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিনকে। তবু নিজেদের মাঠে একটা সম্ভাবনা তৈরি করে ফেলেছিল। সাদমানের মতে নিজেদের ভেতরে থাকা বিশ্বাসের জন্যই বড় বিপদ হয়নি, ‘ওদের কন্ডিশনে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমরা সব সময়েই মনে করেছি যে আমরা ওদের চেয়ে ভালো দল। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল। আমাদের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। রিয়াদ ভাই, তাসকিন, মুমিনুল ভাই সবাই আমাদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছিলেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।