নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত বিশ্বকাপে ছিলেন অধিনায়ক। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেবার পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলেছিলেন একটি অর্ধশতক ইনিংস। এর পর থেকেই এ সংস্করণে ছন্দে নেই তিনি। তাইতো অনেক আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত আরেকটি বিশ্বকাপে সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছাড়াই খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার দুঃসংবাদ শোনার দিনে সুখবর পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কোনো কিছু না করেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে গেলেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান!
গতকাল মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। অনুমিতভাবেই নেতৃত্বে এদিনই এই সংস্করণের বিশবসেরা অলরাউন্ডারের মুকুট ফিরে পাওয়া সাকিব আল হাসান। তার সহকারী হিসেবে নিয়োগ বলবৎ আছে নুরুল হাসান সোহান। নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তানকে নিয়ে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজেও খেলবে একই দল।
বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৬.৫৪ গড় ও ১০২.৮২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন মাদমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান সবশেষ এশিয়া কাপের দুই ম্যাচে পেরিয়েছেন ২০ এর কোটা, তবে এক ম্যাচে স্ট্রাইক রেট ছিল ৯২.৫৯, অন্যটিতে ১২২.৭২। ২০০৭ সাল থেকে এ সংস্করণে খেলে আসা মাহমুদউল্লাহ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১২১টি ম্যাচ, বাংলাদেশের হয়ে যেটি সর্বোচ্চ। যদিও বাউন্সি উইকেটে ভালো খেলতে পারার সুনামও রয়েছে তার। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে কখনো টি-টোয়েন্টি না খেললেও পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৩৫.২০ গড়ে করেছেন ১৭৬ রান। রয়েছে একটি সেঞ্চুরিও। প্রায় একই ধরণের কন্ডিশনের নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডেও তার পারফরম্যান্স ঈর্ষনীয়। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও ছিলেন অধিনায়ক। বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়াতে এ সংস্করণে ভবিষ্যৎটা অনিশ্চিতই হয়ে পড়ল তার।
মাহমুদউল্লাহ ছাড়াও সর্বশেষ এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক, মোহাম্মদ নাঈম, পারভেজ হোসেন ও মেহেদী হাসান। এনামুল ও নাঈম এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ওপেনিং করেছিলেন, তবে পরের ম্যাচে খেলানো হয়নি তাঁদের। পারভেজ হোসেন জিম্বাবুয়েতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক করেছিলেন, তবে এরপর এশিয়া কাপের দলে থাকলেও খেলানো হয়নি তাঁকে। এ ছাড়া তামিম আল হাসানের পর এই সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও।
তবে আশার খবর হচ্ছে, চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন লিটন দাস, নুরুল হাসান, ইয়াসির আলী ও হাসান মাহমুদ। লিটন জিম্বাবুয়ে সফরে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন, ওই সফরেই আঙুল ভেঙেছিল নুরুল হাসানের। আর ইয়াসির আলী চোট পেয়েছিলেন সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে, টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে। চোটের কারণে এশিয়া কাপের দলে ছিলেন না তিনজনের কেউই। এশিয়া কাপের আগে অনুশীলনে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট মিস করেন হাসান মাহমুদ। নাজমুল সর্বশেষ খেলেছেন জিম্বাবুয়ে সফরে, এরপর এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। তবে বিশ্বকাপে তাঁকে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে ভাবা হচ্ছে, এমন জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। এছাড়া, বিশ্বকাপের দলে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে চারজনকে- শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান ও সৌম্য সরকার। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ বলে কন্ডিশনের কথা বিবেচনা করে পেস বোলিংয়ে শক্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। অলরাউন্ডারসহ দলে পেসার পাঁচ জন।
২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ২ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছাবেন সাকিবরা। মাঝের এই সময়টাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বা আবুধাবি, ওমান কিংবা সিঙ্গাপুরে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরামের অধীনে ‘বিশেষ’ ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। সেখানে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলতে পারে সাকিব-সোহানরা। পরে ক্রাইস্টচার্চে ৭ অক্টোবর ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ৯ ও ১২ অক্টোবর স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে আরেক ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। ফাইনালে উঠলে খেলা আছে ১৪ অক্টোবরও। এই টুর্নামেন্ট শেষ করেই বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক শিডিউলে প্রবেশ করতে হবে সাকিবকে। ১৭ ও ১৯ অক্টোবর আইসিসির অফিসিয়াল ওয়ার্মআপে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। হোবার্টে বাছাই পর্বের ‘এ’ গ্রæপ থেকে পেরিয়ে আসা রানার্সআপ দলের মুখোমুখি হবে সাকিবের দল। ২৭ অক্টোবর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রæপের চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে। শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২ নভেম্বর ভারত ও ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
বাংলাদেশ দল
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান (সহ-অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি রাব্বি, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদ, ইবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত। স্ট্যান্ডবাই : শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান। দলে ফিরেছেন : লিটন দাস, নুরুল হাসান, ইয়াসির রাব্বি, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন।
বাদ পড়েছেন : মাহমুদউল্লাহ, এনামুল হক, পারভেজ হোসেন ইমন, শেখ মেহেদি হাসান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।