নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকুন্ডের কুমিরায় একইস্থানে প্রায় অর্ধশত ছোট ছোট ব্যাটারি রিকশা চার্জের গ্যারেজের সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে এসব গ্যারেজে রিকশার ব্যাটারি চার্জের প্রমাণ পেয়ে অন্তত ৩০ ব্যাটারি জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সীতাকুন্ডের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিরা এলাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশার দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। এখানে ঘাট ঘরসহ বিভিন্নস্থানে দোকানপাট, রাইস মিলসহ বাসা বাড়িতে পর্যন্ত গ্যারেজ গড়ে তোলে রিকশার ব্যাটারি চার্জ দিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর হলো বেশিরভাগ গ্যারেজ মালিকই অবৈধভাবে বিদ্যুৎ চুরি করে এসব অপকর্ম চালাচ্ছে। আর দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলে আসলেও গতকাল রবিবার কুমিরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সীতাকুন্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রুহুল আমিন। তিনি বেশ কিছু রিকশার ব্যাটারি জব্দ করে নিয়ে যান। এ বিষয়ে ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও সীতাকুন্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রুহুল আমিন প্রতিবেদককে জানান, ব্যাটারি চালিত অটো রিক্শা বন্ধের পদক্ষেপ হিসেবে বিগত দিনের মতো গতকালও তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। গতকাল তিনি অভিযান চালান কুমিরা ইউনিয়নের ঘাটঘর এলাকায়। সেখানে অভিযানকালে দেখা যায়, এখানে ছোট ছোট অন্তত অর্ধশত রিকশার গ্যারেজ রয়েছে। প্রত্যেকটি গ্যারেজেই রিকশার ব্যাটারি চার্জ দেয়া হচ্ছে। এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে তিনি জানতে পারেন যে, এসব ব্যাটারি চার্জ দিতে প্রত্যেকটির জন্য ৫০-৬০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু যেসব গ্যারেজ এসব ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছে তারা সবাই বিদ্যুৎ চুরির মাধ্যমে এই ব্যাটারিগুলো চার্জ দিচ্ছে। একেক জন মালিক নিজের জন্য বরাদ্দকৃত বিদ্যুতের চেয়ে বেশ কয়েকগুন বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ চুরি করছেন দিনের পর দিন। ফলে তিনি গ্যারেজগুলোর রিকশা থেকে ব্যাটারিগুলো জব্দ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন উদাহরণ দিয়ে বলেন, ওই এলাকার এক ব্যক্তি সাইফুল আলমের একটি রাইস মিল আছে। কিন্তু রাইস মিলটি বর্তমানে বন্ধ থাকলেও এর পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে ব্যাটারি চার্জের গ্যারেজ। এখানে প্রতিদিন ১৫টি ব্যাটারিতে চার্জ দেয়া হতো। পার্শ্ববর্তী আবদুল্লাহর গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, তিনি আবাসিকের সংযোগ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন। তার গ্যারেজে প্রতিদিন ৩০টি রিকশায় চার্জ দেয়া হয়ে থাকে। এদের চেয়েও ভয়ংকর এক স্টেশনারি দোকানী। তিনি তার দোকান থেকে অন্তত ১৫টি গ্যারেজে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে অভিযানকালে স্টেশনারি দোকানের মালিক পালিয়ে যান। ম্যাজিস্ট্রেট মো: রুহুল আমিন আরো বলেন, কুমিরাসহ অন্যান্য যেসব স্থানে এভাবে ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ চুরি চলছে সব জায়গাতেই অভিযান চলবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সীতাকুন্ড পৌরসদর, মুরাদপুর ইউনিয়ন, বাড়বকুন্ড ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রচুর রিকশার ব্যাটারি জব্দ করেন ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।