Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সীতাকুন্ডে দ্বীপ চ্যানেলে মালবাহী বোটে যাত্রী পারাপার

| প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শেখ সালাউদ্দিন, সীতাকুন্ড থেকে : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে দ্বীপ চ্যানেলের কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাটে দিয়ে প্রতিদিন মালবাহী বোটে করে যাত্রী পারাপার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মালবাহি বোটে যাত্রী আনা নেওয়া নিষিদ্ধ হলেও সে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে যাত্রী পারাপার চলছেই। নামেই শুধু মাত্র মালবাহি বোট। কিন্তু মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি বোটে শতাধিক যাত্রী সাগর পারি দিচ্ছে। তবে মালবাহি বোটে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ হলেও তা শুধু কাগজ কলমে তা সীমাবদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে তার একেবারে উল্টো চিত্র।
সম্প্রতি স›দ্বীপ চ্যানেলে লাল বোট ডুবির ঘটনায় ১৮জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর মালবাহি নৌকা, স্পিড বোট কিংবা সী-ট্রাকের যাত্রীদের কয়েক দিন লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বর্তমানে স›দ্বীপ যাবার সময় কিংবা স›দ্বীপ থেকে সীতাকুÐ আসা যাত্রীদের গায়ে লাইফ জ্যাকেট দেখা যায়নি। ফলে দুর্ঘটনায় প্রানহানির আশংকা থেকেই যায়। এদিকে সরেজমিনে সীতাকুÐ উপজেলার কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে যাত্রীদের ভিড়। ঈদের ছুটি শেষে যাত্রীসাধারণ যার যার প্রয়োজনে স›দ্বীপ থেকে যাওয়া আসা করছে। ইজারাদাররা এসব যাত্রীদের পারাপারে ব্যবহার করছেন দুটি সী-ট্রাক, মালবাহি নৌকা ও স্পিড বোট। যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার না করায় যেকোন মহূর্তে উত্তাল সাগরে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে মনে করছেন স›দ্বীপের যাত্রীসাধারণ।
এদিকে স›দ্বীপের মাইটভাঙ্গা থেকে মালবাহী বোটে আসা যাত্রী মোঃ সোহেল বলেন, ১৩০ টাকা করে মালবাহি বোটে গুপ্তছরা ঘাট থেকে এসেছেন। মালবাহী বোটে চলাচল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সী-ট্রাক কখন যে ছাড়ে তার কোনো ঠিক নেই। তাছাড়া স্পিড বোটে ভাড়া লাগে তিন’শ টাকা। তাই খরচ কমাতে মালবাহি নৌকায় এসেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রায় সময়ে এভাবে আসেন তিনিসহ অনেকে। অপরদিকে সারিকাইত এলাকার মোঃ নুরুন্নবী বলেন, তিনি স্পিড বোটে স›দ্বীপের গুপ্তছরা ঘাট থেকে ৩’শ টাকায় সীতাকুÐ কুমিরা ঘাটে এসেছেন।
এই যাত্রীর অভিযোগ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স›দ্বীপ চ্যানেলের এ রুটে সী-ট্রাক চালু করা হয়। কিন্তু সী-ট্রাকের টিকিটের জন্য লাইনে দাড়ালেও কাউন্টার থেকে টিকেট পাওয়া যায়না। তারা নানা রকম অজুহাতে স্পিড বোটে করে যেতে যাত্রীদের উৎসাহিত করেন। তা ছাড়া সারাদিনে সী-ট্রাক শুধু একবার যাওয়া আসা করে। সী-ট্রাকে জন প্রতি ভাড়া দিতে হয় ১৬০ টাকা। আর স্পিড বোটে ৩’শ টাকা। এতে যাত্রীরা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তার দ্বিগুন লাভবান হচ্ছে ইজারাদার।
যার ফলে বাধ্য হয়ে অসহায় যাত্রীরা স্পিড বোট অথবা মালবাহি বোটে চলাচল করছেন। এদিকে ঘাটের যৌথ ইজারাদারের একজন জগলুল হোসেন নয়ন বলেন, প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার যাত্রী পারাপার হয় এ ঘাট দিয়ে। তবে এখন ঈদের ছুটি হিসেবে দুই থেকে আড়াই হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অধীন সীতাকুÐে কুমিরা-স›দ্বীপের গুপ্তছরা ঘাটটি বার্ষিক প্রায় তিন কোটি টাকায় ইজারা নিয়েছেন তারা। মালবাহি বোটে যাত্রী পারাপারের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সী-ট্রাক এমভি কাজল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মালবাহি বোটে করে যাত্রী পারাপার করছেন। লাইফ জ্যাকেট বিষয়ে তিনি বলেন, আবাহাওয়া ভালো থাকলে লাইফ জ্যাকেট দিলেও যাত্রীরা ব্যবহার করছেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সীতাকুন্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ