রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : নওগাঁর রাণীনগরে চলতি বোরো মৌসুমে ধান রোপণে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কৃষকরা। ইতোমধ্যে প্রায় ২শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ শেষ পর্যায়ে। দ্রুত গতিতে চাষিরা নিজ নিজ জমিতে আগে ধান লাগানোর জন্য প্রতিযেগিতামূলক ব্যস্ত সময় পার করছে উপজেলার কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে রবিশস্য চাষের জন্য রাসায়নিক সারসহ কৃষি উপকরণ বিতরণের ফলে যথা সময়ে রবিশস্য চাষের পরে এবার বোরো ধান চাষে কোমর বেধে মাঠে নেমেছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি আফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য আবাদি জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই পরিমাণ জমিতে ধান রোপণের জন্য কৃষকরা প্রায় ৮শ’ ২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেন। আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে কোন প্রকার রোগবালাই ছাড়া চারা ভালো হয়েছে। বোরো ধান চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকায় কিছুটা বৈরি আবহাওয়া থাকলেও দিনের বেলায় তাপমাত্রার গতি বেশি থাকায় ধান রোপণের পরে ঠা-া, ঘন কুয়াশাজনিত কারণে চারাগুলোর তেমন কোন ক্ষতি হবে না বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন। তাই কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সঠিক সময়ে বোরো ধান লাগানো যথাযথ ভাবে পরিচর্যা, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যে গতিতে কৃষকরা ধান রোপণ করছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি বোরো চাষাবাদ শেষ হবে বলে কৃষকরা জানান। উপজেলার মিরাট ইউপি’র হরিশপুর গ্রামের শাহরুখ হোসেন আহাদ, আব্দুল হামিদ, আবুল হোসেন, আনছার ফারাজিসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোরো ধান লাগানোর উপযোগী আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তারা সুযোগ বুঝে জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছে। গত বছর ধানের ফলন ভালো হলেও দাম কম থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। জ্যৈষ্ঠ মাসে বোরো ধান কাটার সময় সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করলে অবশ্যই আমরা কিছুটা লাভবান হবো। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ ধান লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সুষম সার, আধুনিক পদ্ধতিতে লাইন করে ধান লাগানো, নিবির পরিচর্যা ও যথা সময়ে রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রয়োগের জন্য আমার দপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সময় উপযোগী পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে চাষিরা বেশ উৎসাহী হয়ে বোরা ধান লাগানো শুরু করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।