গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গত ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অন্তত ২৭ জন শিক্ষার্থী ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। একই সময়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিন সাংবাদিক। এছাড়াও হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ২৬ শিক্ষার্থীকে।
‘স্টুডেন্ট এগেইনিস্ট টর্চার’ বা স্যাট'র নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। গত বছর একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলো সংগঠনটি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে প্রতিবেদন তৈরি করে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরে সংগঠনের ডকুমেন্টেশন টিমের হেড আহনাফ সাইদ খান বলেন, বছরজুড়ে মোট ২০টি ঘটনায় ২৭ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নির্যাতনের ধরনের মধ্যে ছিলো, ‘গেস্টরুমে’ নির্যাতন, মারধর, অসুন্থ অবস্থায় লাইটের দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করা, ধোঁয়া না ছেড়ে সিগারেট শেষ করতে বাধ্য করা, ‘মুরগি’ হতে বলা, অভিভাবককে ফোন করে ডেকে আনা, পুলিশে সোপর্দ করা প্রভৃতি।
অন্যদিকে, প্রতিবেদনে নির্যাতনের কারণ হিসেবে ‘ম্যানার্স শেখানো’, সিনিয়র নাম বলতে না পারা, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনিয়মিত হওয়া, ‘গেস্টরুমে যেতে দেরি হওয়া’, সালাম-করমর্দন করতে দেরি হওয়ায়, ফেসবুকে বিরোধী মতপ্রকাশ, ইসলামি ও বামপন্থি বই পাওয়া, রুম স্থানান্তর ইত্যাদিকে দেখানো হয়। এসব ঘটনায় মাত্র চারটি ঘটনায় প্রশাসন নামমাত্র ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্যাট'র পরিচালক সালেহ উদ্দীন সিফাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহবান- অতি শিগগিরই শিক্ষার্থী নির্যাতনের সাথে জড়িত নির্যাতকদের তদন্তপূর্বক প্রাশাসনিক শাস্তি নিশ্চিত করুন এবং গেস্টরুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি প্রাশাসনিক বিধি প্রণয়ন করুন। এ বিষয়ে আদালতের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন তিনি।
সিফাত বলেন, স্যাট'র দাবি একটি টর্চার-মুক্ত ক্যাম্পাস। সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘কাঠামোগত উদ্যোগ’ গ্রহণ করতে হবে। কাঠামোগত বিচার অথবা পাবলিক কনফেশন ও ক্ষমাপ্রার্থনা ব্যতিত কেবল ‘বড় ভাইদের’ মধ্যস্থতায় গেস্টরুম নির্যাতনকে মীমাংসা করা যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।