পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন পাঠ্যক্রমকে প্রত্যাখ্যান করে লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচির আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে এ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার নতুন বছরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে ইতিহাস বিকৃতি, সা¤প্রদায়িক উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু এবং ট্রান্সজেন্ডার/এলজিবিটি প্রমোট করাসহ নানা বিষয়ের প্রতিবাদে প্রাঠ্যক্রম প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই লালকার্ড সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
এদিন বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। সমাবেশ পÐ হওয়ার পর কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ভিডিও মন্তব্য নেয়ার সময় কয়েকজন সংবাদকর্মীর মোবাইল ও ক্যামেরা বন্ধ করতে এবং তা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ঢাবির জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এখানে একটা সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ তাদের ব্যানার নিয়ে যায় এবং সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে চলে যেতে বলে। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলে আসার পর আর সমাবেশ হয়নি। সমাবেশের আয়োজকরা তারপর চলে যায়।
কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থী জামালুদ্দিন খালিদ বলেন, আজকে আমাদের ১২টায় সমাবেশ ছিল। আমরা এখানে আসার পরে দেখলাম, পুরো জায়গাটা পুলিশ ঘিরে ছিল। যেহেতু পুলিশ থাকতেই পারে, উনারা আমাদের নিরাপত্তা দেবেন।
তিনি বলেন, এখানে আমাদের মাইক এবং ব্যানার চলে আসতেই হুট করে পুলিশের একজন বড় কর্তা ব্যক্তি আমাদের ব্যানারটি ছিনিয়ে নেন এবং মাইককেও চলে যেতে বলেন। একটু পর আমাদের ছাত্রলীগের ভাইয়েরা এসে এখানে অবস্থান নিয়েছেন। যার কারণে আজ কর্মসূচি করার মতো কোনো পরিবেশ নেই আপাতত।
ঘটনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ওখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিক ডিপার্টমেন্ট আর চারুকলার শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকাল ১১টায় আমিও ওখানে গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে গান শোনলাম, আমিও গান গেয়ে আসলাম। কাউকে কিছুতে বাঁধা দেয়া হয়নি। দু›টো আলাদা আলাদা সময়ে প্রোগ্রামগুলো হয়েছে।
সংবাদকর্মীদের সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ফার্স্ট ইয়ারের কয়েকটা ছেলের সাথে একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে আমি তাদেরকে আবার পাঠিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করিয়েছি। কারণ, আমরা সবসময় সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা করতে চাই।
ব্যানার ছিনিয়ে নেয়া বা সমাবেশ পÐ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ।তিনি বলেন, আমরা কারো ব্যানার নেইনি, কাউকে আটক করিনি এবং কাউকে বাঁধাও দেইনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।