বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় টাকা চুরির অপবাদে গাছে বেঁধে প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক স্কুল ছাত্রকে নির্যাতন করে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চাইরগাঁও গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২), একই গ্রামের মৃত আরাফাত আলীর ছেলে হরুপ আলী (৪০), রিফাত মিয়ার ছেলে জায়েদ আলী (২২) অঙ্গাত কয়েকজন। নির্যাতনের স্বীকার মারুফ মিয়ার (১৫) বাবা উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্বচাইরগাঁও গ্রামের দিনমজুর সফিক মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়ীত আব্দুল্লাহ, হরুপ আলী ও জায়েদ আলীকে আসামী করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ১৫ দিন পর মামলার প্রধান আসামি আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কিন্তু ঘটনার পর দেড়মাস পার হয়ে গেলে ও অধরাই রয়ে গেছে মামলার অন্য দুই আসামী হরুপ আলী ও জাহেদ আলী।
এদিকে, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ভিডিও ভাইরাল এ মারধরের সাথে জড়িত থাকার কারনে আহাদ আলী নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি চাইরগাঁও গ্রামের মৃত মশ্রব আলী'র ছেলে।
অন্যদিকে,১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান মামলার প্রধান আসামী আব্দুল্লাহ। অন্য দুই আসামী এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশষ্কায় রয়েছে নির্যাতিত শিশুটির পরিবার। আহত মারুফের বাবা সফিক মিয়া গতকাল শনিবার দুপুরে খোলা কাগজকে জানান,আমরা গরিব হওয়ায় ছেলের সুচিকিৎসা করাতে পারিনি। বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়ে অর্ধপাগল অবস্থায় সে গৃহবন্দী জীবন যাপন করছে। মারুফের বাবা আরও জানান,মাথায় আঘাত পাওয়ায় বর্তমানে তার সেখানে মানুষিক সমস্যার দেখা দিয়েছে।
মামলার বিবরণ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,
গত ৭ ডিসেম্বর টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্বচাইরগাঁও গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে কামরুল হাসান মারুফ (১৫) কে বাড়ির সামনে আমগাছে রঁশি দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে প্রকাশ্যে হাত -পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কাঁয়দায় নির্যাতন করে আসামীরা।
শিশু মারুফকে প্রকাশ্যে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতনের সময় স্কুল ছাত্র মারুফ "টাকা ‘চুরি করিনি" বলে হাউমাউ করে "চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি করলে ও আব্দুল্লাহ,হরুপ আলী ও জায়েদ আলীর নির্যাতন থেকে রাক্ষা পায়নি। মারপিটের এক পর্যায়ে তার স্বজনরা এগিয়ে গেলে ও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশুটির উপর নির্যাতন আরো বাড়াতে থাকেন আসামীরা।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় মারুফকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ো যান।
জানা যায়,নির্যাতনকারী আসামীরা এলাকায় উ-সৃঙ্খল ও বেপরোয়া প্রকৃতির মানুষ। নিজেদের খায়েস মেটানোর জন্য ছেলেটিকে মারধর করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘তামিল সিনেমার স্টাইলে হাত-পা বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। একটু পর পর এসেই এলোপাতাড়ি ভাবে পায়ের তলায় মারধর শুরু করে। এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারলে দিন দিন এলাকায় এসব অপকর্ম আরো বেড়ে যাবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) দোয়ারাবাজার থানার এস আই পান্নালাল দেব বলেন.মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ভিডিও ভাইরাল এ মাইরের সনাক্তকৃত আসামী আহাদ আলীকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।