বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : ১৩০ বছরের দীর্ঘ জীবনের স্বাভাবিক পরিসমাপ্তি ঘটেছে মল্লিকা খাতুন নামে এক গ্রাম্য বৃদ্ধার। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইতঃপূর্বে স্মরণকালে নরসিংদীসহ দেশের কোথাও এত দীর্ঘ বয়সী কোনো মানুষের মৃত্যুর খবর জানা যায়নি। বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ ও খাদ্য দূষণের কারণে নরসিংদীর মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, হাঁড়িধোয়া, আড়িয়ালখাঁর কোনো অববাহিকা অঞ্চলেই অশীতিপর বা শতবর্ষী মানুষের যেখানে দেখা পাওয়া যায় না। সেখানে ১৩০ বছর সফল জীবনযাপন শেষে স্বাভাবিক মৃত্যু একটি বিরল ঘটনা। বৃদ্ধার আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার চালাকচর গ্রামের মৃত মো: ইউনুছ আলীর স্ত্রী মল্লিকা খাতুন মৃত্যুকালে ৯ ছেলে, ৩৫ জন পৌত্র-পৌত্রী, ৫২ জন প্রপৌত্র-প্রপৌত্রী এবং তাদের আরো বেশ কয়েকজন অধস্তন উত্তরাধিকার বা বংশধর রেখে গেছেন। বৃদ্ধা মল্লিকার বড় ছেলে আব্দুস সোবহানের বয়স ৮৫ বছর। এই ৮৫ বছর বয়সী বড় ছেলেসহ ৯ ছেলেই বর্তমানে জীবিত রয়েছেন। বৃদ্ধার স্বামী ইউনুছ আলী মারা গেছেন ২৫ বছর পূর্বে। তিনি ছিলেন একজন ঘরমিস্ত্রী। তিনি গ্রামের একসময় জনপ্রিয় কাঠকেওয়ারি ঘর নির্মাণ করতেন। বৃদ্ধা মল্লিকার ব্যক্তিগত জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে, তিনি অত্যন্ত সাধারণ খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করতেন।
তিনি বেশি বেশি মাছ, শুটকি, আখের গুড় ও দুধ খেতেন। আখের রশি গুড় দিয়ে জাউ খেতেন। বিভিন্ন শাকসব্জী মিশ্রনে লাবড়া জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করতেন। এলাকাবাসী জানিয়েছে, বৃদ্ধা মল্লিকার বাড়ির পাশেই রয়েছে মনোহরদীর বিখ্যাত জোয়ারিয়ার বিল। এই বিলে প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যেতো। এই মাছই চালাকচর গ্রামের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করতো। বৃদ্ধার স্বামী ও সন্তানরা এই বিল থেকে মাছ ধরে এনে দিতেন আর বৃদ্ধা মল্লিকা এসব মাছ বিভিন্নভাবে রান্নাবান্না করে নিজে খেতেন এবং স্বামী-সন্তানদেরকে খাওয়াতেন। বৃদ্ধার সন্তানরাও সবাই বর্তমানে সুস্থ ও সামর্থবান রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।