মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন এবং প্যারিসের মতো অন্যান্য শহরগুলিতে সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর রুশ ধনকুবেরদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ফলে রাশিয়ানরা দুবাইতে সম্পত্তির সবচেয়ে বড় বিদেশী ক্রেতা হয়ে উঠেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের পর ক্রেমলিনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি রাশিয়ানদের উপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো অনুসরণ করতে অস্বীকার করেছে, ফলে এটি মূলত রাশিয়ানদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। চেলসি ফুটবল ক্লাবের সাবেক মালিক রোমান আব্রামোভিচ, যিনি পুতিনের সাথে তার সম্পর্কের জন্য নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন, তিনি দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহতে (পাম গাছের মতো দেখতে ডিজাইন করা কয়েকটি কৃত্রিম দ্বীপের সমষ্টি) বাড়ি কিনতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সম্পত্তি সম্পত্তি কেনা-বেচায় মধ্যস্থতা করা প্রতিষ্ঠান বেটারহোমস রিপোর্ট করেছে যে, রাশিয়ানরা এখন দুবাইয়ের অনাবাসী ক্রেতাদের মধ্যে বৃহত্তম গোষ্ঠী। ২০২২ সালে, তাদের ফার্মে মোট বেচা-কেনার ১৫ শতাংশের সাথেই যুক্ত ছিল রাশিয়ানরা। তাদের পরে রয়েছে যথাক্রমে, ব্রিটিশ (১২ শতাংশ), ভারতীয় (১১ শতাংশ), ইতালিয়ান (৭ শতাংশ) ও ফরাসিরা (৪ শতাংশ)। দুবাই গত বছর সামগ্রিকভাবে ৮৬ হাজারের বেশি আবাসিক বাড়ি ও জায়গা লেনদেনের তথ্য নিবন্ধিত করেছে, যা আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে (২০০৯ সালে ৮০ হাজার)।
গত বছর প্রায় ২০৮ বিলিয়ন দিরহাম (৪৬ বিলিয়ন পাউন্ড) মূল্যের সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ। বিদেশী ক্রেতাদের আগমন দুবাইয়ের সম্পত্তির বাজারকে অন্যান্য অনেক দেশে দেখা একটি প্রবণতাকে সাহায্য করেছে, যেখানে ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা মূল্য হ্রাস করেছে।
রিয়েল এস্টেট খাত দুবাইয়ের অর্থনীতির প্রায় এক তৃতীয়াংশের জন্য ভূমিকা রাখে, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাতটি রাজ্যের মধ্যে অন্যতম। বেটারহোমসের গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিচার্ড ওয়াইন্ড বলেছেন, ক্রমবর্ধমান সুদের হার দুবাইয়ে দাম বৃদ্ধিকে কমিয়ে দিয়েছে কিন্তু অন্তর্নিহিত চাহিদা এখনও শক্তিশালী। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।