মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুবাই শহরের পাঁচ তারকা আটলান্টিস দ্য পাম হোটেলে মহাজাঁকজমকে হয়ে গেল বাংলাদেশি বর-কনের বিয়ে। বাংলাদেশি দুই ধনকুবেরের ছেলে-মেয়ের বিয়ের আসর বসে ৮ জানুয়ারি। তিন দিন ধরে সেই বিয়ের আয়োজনে অতিথি ছিলেন অন্তত ৭০টি দেশের ৯ হাজার মানুষ। আমিরি-বাদশাহি আয়োজনের এই বিয়ের খবর এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাজাঁকজমকপূর্ণ এই বিয়ের আয়োজনে হয় দুবাই শহরের পাঁচ তারকা আটলান্টিস দ্য পাম হোটেলে। এই হোটেলে এক রাত থাকতে ৪৫০ ডলার থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হয়! আর সীমিত আইটেমে ডিনার করলেও ন্যূনতম ১২৫ ডলার থেকে আড়াই শ ডলার পর্যন্ত গুনতে হয়।
বিয়ের কনে ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুবাইয়ের ধনকুবের বাংলাদেশের এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বিশ্বখ্যাত সুগন্ধি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আলহারামাইন পারফিউমের মালিক মাহতাবুর রহমান নাসিরের মেয়ে সামিয়া রহমান। আর বর বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামালের ছেলে তানভীর আহমেদ। বিয়েতে তার পক্ষে বাংলাদেশ থেকে দুবাই উড়ে গেছেন প্রায় ১০০ বরযাত্রীর বহর।
মেয়ের বাবা ধনকুবের মাহতাবুর রহমানের আমন্ত্রণে তিন দিনের বিয়ের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৭০টি দেশ থেকে প্রায় ৯ হাজার অতিথি হাজির হন। এর মধ্যে গায়েহলুদে ২ হাজার, বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫ হাজার আর গানের অনুষ্ঠানে ২ হাজার অতিথি অংশ নেন বলে জানা যায়। বাংলাদেশ থেকেই মাহতাবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা, তারকাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫০০ বিশিষ্ট অতিথি বিয়েতে যোগ দেন।
বিয়ে নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মাহতাবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের মূল অনুষ্ঠানটি হয় ৮ জানুয়ারি দুবাইতে। এটি আমিই আয়োজন করেছি। দুবাইয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে আমরা দেশে ফিরে এসেছি। ছেলের পক্ষ থেকে বৌভাত ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে।’
বিয়ের সঙ্গে জড়িত মাহতাবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, আটলান্টিসের সবচেয়ে বিলাসবহুল সিল্ক বলরুমে বিয়ের মূল অনুষ্ঠানটি হয়। গায়েহলুদ হয় আরেক বিলাসবহুল রিসোর্ট জাবেল আলিতে। বিয়ের দিনের অতিথিদের অন্তত ৩০ পদের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। আর গায়েহলুদে দেওয়া হয় ৩৫ রকমের খাবার।
বিশ্বের প্রায় সব মহাদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথিরা এলেও এতে বাংলাদেশ, ভারত ও আরব দেশের অতিথিদের প্রাধান্য ছিল। বিলাসবহুল এ বিয়ের সাক্ষী তারই জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সত্যিকারের একটি রাজকীয় বিয়ে হলো এটি। বাংলাদেশ থেকেও প্রায় ৫০০ অতিথি যোগ দেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।