প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
নাটকীয় পেনাল্টিতে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে শেষ হাসি হেসেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি মেসি জিতেছেন গোল্ডেন বল। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকলো ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার রুদ্ধশ্বাস জয়ে। বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই ম্যাচের আগেই দেশের শোবিজ তারকারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তাদের প্রত্যাশার কথা। অনুমান করেছিলেন গোল ব্যবধান কত হতে পারে।
তারকাদের সেই প্রেডিকশনের সঙ্গে ফলাফলের সমীকরণ মেলানো যাক চলুন-
চঞ্চল চৌধুরী : আমার পছন্দের ফুটবল দল আর্জেন্টিনা । প্রতিবারই বিশ্বকাপের সব খেলা দেখার চেষ্টা করি। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা আছে। আমার সব থেকে পছন্দের খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। পাশাপাশি নেইমার জুনিয়র, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকেও ভালো লাগে। মূলত সব টিমের জন্য শুভকামনা। তবে আশা করি এবার আর্জেন্টিনা চমকে দেবে ফুটবল বিশ্বকে। কারণ, দিনশেষে আমি চাইব আর্জেন্টিনাই বিশ্বকাপ জিতুক।
নিপুণ আক্তার : ম্যারাডোনার কারণে আর্জেন্টিনার। ছোটবেলা থেকেই ফুটবল মানে ম্যারাডোনাই দেখে আসছি। যে কারণে আর্জেন্টিনা ভক্ত আমি। সেখান থেকেই আর্জেন্টিনাকে ভালো লাগা। মেসি শিরোপা পাক বা না পাক আমি সব সময় আর্জেন্টিনা দল সাপোর্ট করে যাব। আসলে ছোট বেলা থেকেই আমি আর্জেন্টিনা সমর্থন করে আসছি। আমি মেসির ভক্ত।
সারিকা সাবরিন : চোখ বন্ধ করে আমি আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। খেলা দেখি নিয়মিত। তবে শুটিং থাকলে হয়তো দেখার সময় মেলে না। তবে মনে প্রাণে চাই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতুক। এবার মন বলছে আর্জেন্টিনাই জিতবে কাতার বিশ্বকাপ। মেসির খেলার ভক্ত আমি। তাকে মাঠে দেখলেই একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। ছোট বেলা থেকে শুনে শুনে বড় হয়েছি। এরপর মাঠে খেলা দেখেই আর্জেন্টিনার ভক্ত হয়েছি। তাই বলতেই হচ্ছে জিতুক কিংবা হেরে যাক, আমি বরাবরই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার।
পরীমণি : এবার আমি মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চাই। আর্জেন্টিনা আমার পছন্দের টিম। ভক্ত আমি। তবে রাজ ব্রাজিলের ভক্ত হওয়া প্রায়ই বাকযুদ্ধ বাধে আমাদের। কিন্তু তা যুক্তিতর্কেই শেষ।
আরিফিন শুভ : ছোটবেলা থেকেই আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আমার পছন্দের খেলোয়াড় মেসি। প্রতিবারই আমি বিশ্বকাপের খেলাগুলো দেখার চেষ্টা করি। আর্জেন্টিনা ও মেসির শৈল্পিক খেলাগুলো মিস করতে চাই না। এবারও মিস করব না। প্রিয় টিম আর্জেন্টিনার জন্য শুভকামনা।
ফেরদৌস : আগে কোন দল করতাম বলব না। তবে ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার ফুটবল জাদুতে মুগ্ধ হয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় আর্জেন্টিনার ভক্ত হয়ে গেছি। এখনও আছি। এখন যদিও ম্যারাডোনা বেঁচে নেই, তবে মেসি আছে। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা মানেই বিশেষ কিছু। এবারও তাই হবে। মেসি চমকে দেবে বিশ্বকে। আমি চাই এবারের বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার ঘরে যাক।
পূজা চেরি : এক কথায় আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি। আমার একটাই দল- আর্জেন্টিনা। আর কোনো দলকে সমর্থন করব না। যদি আর্জেন্টিনা হেরে যায় টিভি বন্ধ করে দেব। খেলা দেখব না। কথা শেষ। আর্জেন্টিনার বাইরে আর কোনো দল নাই। যখন থেকে খেলা বুঝি, তখন থেকেই আর্জেন্টিনাকে সমর্থন জানাচ্ছি। বিশেষ করে লিওনেল মেসির ভক্ত আমি।
নিরব : সবসময়ই আর্জেন্টিনার সমর্থক বা ভক্ত আমি। কারণ, দলটির খেলার মধ্যে ভিন্ন কিছু রয়েছে, যা আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে। মেসি তো দুর্দান্ত খেলে। সব মিলিয়েই আমার কাছে আর্জেন্টিনার খেলা ভালো লাগে। সর্বাধিক বিশ্বকাপ জেতা দেখে দল সমর্থন করি না। খেলার নৈপুণ্য দেখে সমর্থন করি। যারা সুন্দর ও ছন্দময় ফুটবল খেলা পছন্দ করেন, তারা আর্জেন্টিনার খেলাও পছন্দ করবেন। মেসির জন্য শুভকামনা।
মাহিয়া মাহি : বরাবরই আর্জেন্টিনা দলের ভক্ত আমি। কম বেশি সব দলের খেলাই দেখা হয়। তবে আর্জেন্টিনা খেলার দিন একটু বেশি উত্তেজনা কাজ করে। মেসির ভীষণ ভক্ত আমি। আশা করি এবারের বিশ্বকাপটা মেসির জন্য এবং আমরা যারা এই দলের ভক্ত তাদের জন্যও ইতিহাস হয়ে থাকুক। যেভাবে এখন খেলছে এভাবে খেললে ফাইনালে যাবে আর্জেন্টিনা এবং বিশ্বকাপ জিতবে।
সিয়াম আহমেদ : সিয়ামের পছন্দের দল স্পেন। সেটি বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। এরপর থেকে তার চাওয়া ছিলো, কিংবদন্তি লিওনেল মেসির হাতে যেন বিশ্বকাপ ওঠে। চরম উত্তেজনাময় ফাইনালে সেটাই ফলেছে।
তমা মির্জা : আর্জেন্টিনার অন্ধ ভক্ত এ অভিনেত্রী। প্রত্যেকটি ম্যাচে ছিলেন পর্দার সামনে। তিনি বলেছেন, খেলায় নৈপুণ্যের পাশাপাশি ভাগ্যও বড় ফ্যাক্টর। তবে আর্জেন্টিনা কাপ নেবে, এ ব্যাপারে ছিলেন নিশ্চিত। ২-১ গোলে বিজয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে ম্যাচ শেষে জয় এসেছে ঠিকই, শুধু গোল ব্যবধানের অনুমান মেলেনি।
সাইমন সাদিক : ব্রাজিলের নিরেট সমর্থক সাইমন। তাদের বিদায়ের পর আর খেলা দেখনি। তাই ফাইনাল নিয়েও তার কোনও উচ্ছ্বাস বা অনুমান ছিলো না। শুধু এটুকু বলেছিলেন, মেসি এই বিশ্বকাপ পাওয়ার যোগ্য। অবশেষে যোগ্য মানুষের হাতেই শোভা পেলো স্বর্ণের সেই ট্রফি।
জায়েদ খান : ২-১ গোলে আর্জেন্টিনা জিতবে, মেসি কোলে করে কাপ বাড়িতে নিয়ে যাবেন, এমনটা বলেছিলেন তিনি। আংশিক সত্য হলো জায়েদ খানের কথা। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে মেসিদের জয়ে তাই আনন্দে ভাসছেন এ নায়ক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।