বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : বিস্ফোরক আইনে করা দুই মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জি কে গউছকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। গতকাল মঙ্গলবার দুই মেয়রের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মো. নিজামুল হক এ আদেশ দেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় জি কে গউছ ও সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় একই আইনের অপর মামলায় আরিফুল হক চৌধুরী ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুই মেয়রের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং এম মাসুদ রানা।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, দুজনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে ওই দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি।
আইনজীবী সূত্র বলেছে, ২০০৪ সালের ২১ জুন দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা হলে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয় ও ২৯ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় দিরাই থানায় মামলা হয়। এই মামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান আরিফুল হক। আর ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হবিগঞ্জ সদর থানায় দুটি মামলা হয়। বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান গউছ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।