পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবলকে শনাক্ত করার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। তিনি ডিএমপি প্রটেকশন ডিভিশনে কর্মরত। তার দায়িত্ব ছিল ভিআইপি, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এ ঘটনায় ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ভুক্তভোগী নারী তার অভিযোগে ওই পুলিশ সদস্যের নাম ও পদবি বলেননি। শুধু একজন পুলিশ সদস্যের কথা বলেছেন। আমরা অভিযোগ পেয়ে খুব গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করি। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ঘটনার যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পুরো তেজগাঁওয়ে কর্মরত সদস্যদের নিয়ে আমরা একযোগে তদন্তে নামি। পরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম নাজমুল তারেক। তিনি ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ও এনালগ সব পর্যায়ে তদন্তপূর্বক কনস্টেবল নাজমুলের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। তার মোটরসাইকেল নম্বর ধরেও নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। পরে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে।
তার বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ কি? জানতে চাইলে উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সব জায়গায় ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংসদেও আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনা হোক বা না হোক, আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করি। এইক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষিকা ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে শেরে বাংলানগর থানায় একটি জিডি করেছেন। সেই জিডির যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তদন্ত করা হবে।
অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে শনাক্ত করেছেন, জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন। তিনি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে কি জানিয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিসি বিপ্লব বলেন, আমরা অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
টিপ পরা, ইভটিজিং সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানা গেছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটেছে, সেটার সত্যতা আমরা পেয়েছি। এখন টিপ পরা বা ইভটিজিং সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করবো। আমাদের প্রাথমিক কাজ ছিল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা। যেহেতু জিডিতে অভিযুক্তের নাম, পদবী ও মোটরসাইকেলের নম্বর পরিপূর্ণ ছিল না। শুধু সংক্ষিপ্ত বিবরণী ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করে পরিচয় নিশ্চিত করেছি।
টিপ পরা নিয়ে হেনস্তাকারী পুলিশ সদস্যের শাস্তি চায় ঢাবির শিক্ষক সমিতি: শিক্ষক লতা সমাদ্দারকে হেনস্তা করা সেই পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতি বলেছে, এ ধরনের অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে সভ্য সমাজব্যবস্থা কায়েম করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া। গত শনিবার সকালে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে লতা সমাদ্দার এক পুলিশ সদস্যের হেনস্তার শিকার হন। তার অভিযোগ, টিপ পরায় গালিগালাজ ছাড়াও তার পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।
লতা সমাদ্দারের সঙ্গে পুলিশ সদস্যের আচরণকে ‘বর্ণবাদী ও অবমাননাকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় শিক্ষক সমিতি ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। এ ঘটনা সর্বস্তরের নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। বর্তমান সরকার যেখানে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজের সর্বস্তরে ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ ভেদাভেদ দূর করে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে সরকারের পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য, যাঁর নারীর নিরাপদ গমনাগমন নিশ্চিত করতে তৎপর থাকার কথা, তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত অনভিপ্রেত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।