মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে ফের তলব করেছে ইরান। প্রায় তিন মাস ধরে চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে ইরান অন্তত ১৫ বার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সাইমন শেরক্লিফকে ডেকেছিল বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ। এর আগের দিন জার্মানির রাষ্ট্রদূত হান্স-উডো মুজেলকে তলব করেছিল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইআরএনএ বলেছে, প্রায় ১০ সপ্তাহের মধ্যে ১৫ বার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকেছে ইরান সরকার। এর মধ্যে প্রায় সবাই পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মধ্যে রয়েছে ইরান সরকার। সেই নজিরবিহীন চাপের মধ্যে ইরান তার কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানাল।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভ শুরুর পর ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সাইমন শেরক্লিফকে অন্তত পাঁচবার তলব করেছে ইরান। দেশটির সরকার এই বিক্ষোভকে ‘দাঙ্গা’ বলে অভিহিত করেছে এবং এসব দাঙ্গার পেছনে বিদেশি শত্রুদের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইরান।
আইআরএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান বিক্ষোভ, সন্ত্রাস ও অস্থিরতায় যুক্তরাজ্য সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাজ্যের এ ধরনের সমর্থনের প্রতিবাদ করেছে ইরান।
অন্যদিকে গত সেপ্টেম্বর থেকে জার্মান রাষ্ট্রদূত মুজেলকে অন্তত চারবার তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে ইরানের বিক্ষোভকারী মোহসেন শেকারির মৃত্যুদণ্ড দেওয়াকে ‘বিভ্রান্তিকর বিচার’ বলে ইরানের সমালোচনা করেছিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তাঁর সেই সমালোচনারও প্রতিবাদ করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ‘জার্মানির হস্তক্ষেপ চরম অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর।’
এ ঘটনার পর ইরানের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে জার্মানি। একজন কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ারও নিন্দা করেছে ইরান, কারণ বিক্ষোভের জেরে ইরানের নীতি পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী বাসিজসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও দুটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সহিংসতা ও ঘৃণাকে উসকানি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।’
এ ছাড়া ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতদেরও একাধিকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকেছে ইরান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ইরানবিরোধী অবস্থান নিয়েছে এসব দেশ এবং তারা তাদের গণমাধ্যমগুলোতে ইরানবিরোধী প্রচার চালাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।