মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত তার নিজস্ব জ্বালানির প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রাখবে বলে সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তেল আমদানি থেকে রাশিয়ার আয় কমিয়ে মস্কোকে চাপে ফেলার লক্ষ্যে জি-৭ গোষ্ঠী কয়েক দিন আগে রুশ তেলের সর্বোচ্চ দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ মার্কিন ডলারে বেঁধে দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের এই অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলো কী ভাবে নেয়, সেটাই দেখার।
নয়াদিল্লিতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার পর জয়শঙ্কর জানান, ইউরোপীয় দেশগুলি তাদের নিজেদের জ্বালানির প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দেবে অথচ ‘ভারতকে অন্য কিছু করতে বলবে’, তা ঠিক নয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপ তাদের পছন্দ ঠিক করবে। এটা তাদের অধিকার।’ যদিও গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ যখন রুশ তেল কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তখন ভারত তাতে যোগ দেয়নি। বরং, রুশ তেলের দাম তলানিতে চলে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে ভারত রাশিয়া থেকে আমদানি অনেকটাই বাড়িয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন বলে মত কূটনৈতিক মহলের। রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, জি-৭ গোষ্ঠীর বেঁধে দেয়া দরে তারা তেল বিক্রি করবে না। বাজারের শর্ত মেনে যে সমস্ত দেশ রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে শুধুমাত্র সেই দেশগুলোকেই অপরিশোধিত তেল তারা বিক্রি করবে বলে মস্কো রোববার জানিয়েছে।
রাশিয়ার তেলের যে দর বেঁধে দিয়েছে জি-৭ গোষ্ঠী, তা ভারত মানবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এদিকে জি-৭ গোষ্ঠীর ওই বেঁধে দেয়া দর সোমবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। রাশিয়ার তেলের দরের যে সর্বোচ্চ সীমা জি-৭ গোষ্ঠী বেঁধে দিয়েছে তার সরাসরি কোনও উল্লেখ জয়শঙ্কর এদিন করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের তুলনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশি পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি রাশিয়া থেকে আমদানি করে।
রুশ তেল সস্তা হওয়ার কারণে ভারতের সুবিধা হচ্ছে বলেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়ানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাখ্যা। দৈনিক ব্যারেলের নিরিখে অক্টোবরে রাশিয়া ভারতের এক নম্বর তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের নিন্দা করে জাতিসংঘে আনা প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত ছিল ভারত। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।