নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ফেডারেশন কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতামূলক কাজের জন্য এখন অনেকটাই স্থবির কাবাডির কর্মকান্ড ! তৃণমূল পর্যায়ের কাবাডি খেলোয়াড়দের অনুশীলনও হচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতার সেবা অঞ্চলের খেলা। কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করেননি। তার অনুপস্থিতিতে সভাপতি বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হককে ফেডারেশন সংক্রান্ত কোন কাজ সম্পর্কে অবহিত করেন না কর্মকর্তারা। ফলে সভাপতির সঙ্গে কর্মকর্তাদের দূরত্ব তৈরি হয়ে বর্তমানে অচলাবস্তার মধ্যে পড়েছে কবাডির সব কর্মকান্ড।
জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতার সেবা অঞ্চলের খেলা শুরু দিনক্ষণ নির্ধারণ ছিল গত সোমবার। কিন্তু হঠাৎ করেই নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে কাবাডি মাঠে অবস্থান নেয় পুলিশবাহিনী। ওই দিন কোন কর্মকর্তাকে ফেডারেশন অফিসেই শুধু নয়, কাবাডি স্টেডিয়ামেও প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। বলা যায় সেই সময় থেকেই অনেকটা গা ঢাকা দিয়েছেন ফেডারেশন কর্মকর্তারা। গত চারদিন তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সকাল সেশনের দৈনন্দিন অনুশীলন হলে গতকাল তা আর হয়নি। এ প্রসঙ্গে কোচ সুবিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে আমি কাবাডি স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখি বাইরের গেটে তালা দেওয়া। ফলে ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। পরে উপস্থিত খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে তাদের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ডরমেটরিতে পাঠিয়ে দেই।’ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাবাডি স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের বাইরে নতুন তালা ঝুলছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, কাবাডির বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে বেশ ক’মাস ধরেই সভাপতি একেএম শহিদুল হককে কিছুই জানাননি ফেডারেশন কর্মকর্তারা। সভাপতিকে পাশ কাটিয়ে তারা নিজেরাই নাকি সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এই সময়ে। এমনকি ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ কাবাডিতে যাওয়ার আগে এবং পরে সেখান থেকে এসেও এ বিষয়ে সভাপতিকে কিছুই জানাননি কর্মকর্তারা। তাছাড়া জাতীয় কাবাডি শুরু করার বিষয়েও সভাপতি একেএম শহিদুল হকের অনুমোদন নেয়া হয়নি। যা নিয়মের বাইরে। যার ফলে আইজিপির সঙ্গে ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তাদের একটি দূরত্ব তৈরি হয়ে সব কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে। আর কর্মকর্তাদের এহেন কর্মকান্ড মাশুল গুনতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। এ বিষয়ে কথা বলতে কাবাডি ফেডারেশনের কোন কর্মকর্তাই পাওয়া যায়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে একমাত্র সভাপতি ছাড়া অন্য সব কর্মকর্তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, কাবাডির কর্মকান্ড সচল করতে নাকি ফেডারেশন সভাপতির অফিসে নাকি দৌঁড়ঝাপ করছেন অনেকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।