পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এ ধরনের কর্মকা-ের জন্য কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
ইতালির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর বেনেদেতো ডেলা ভেদোভা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসবের পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী কারা এবং কারা এদের অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে তার সরকারের উদ্যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে আমরা জনগণের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেশের ৬৪ জেলার সকল শ্রেণী পেশার জনগণের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারের সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের ফলে দেশের জনগণ এখন সমাজের এই ব্যাধি সম্পর্কে অনেক বেশি সতর্ক। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ ধরনের কোনো ঘটনা কখনো প্রত্যাশা করিনি। আমরা ১০ ঘণ্টার মধ্যেই গুলশানের ঘটনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হই এবং পরবর্তীতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি সফল অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের হত্যা ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহতদের পরিবার-পরিজনের প্রতি তার গভীর সমবেদনার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
জবাবে ইতালির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর এই সমবেদনা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার-পরিজনের কাছে পৌঁছে দেবেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সিনেটর বেনেদেতো বলেন, ‘এ বিষয়ে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।’
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে।
সন্ত্রাসীরা জনগণকে ভীতসন্ত্রস্ত এবং দ্বিধাবিভক্ত করে তাদের চলাচলকে সীমাবদ্ধ করে ফেলতে চায় উল্লেখ করে সিনেটর বেনেদেতো বলেন, ইতালীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বাংলাদেশে আসতে চায় এবং বিনিয়োগ করতে চায়। তবে এজন্য তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইতালি বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাত ছাড়াও ‘ব্লু ইকোনমি’র ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চায় উল্লেখ করে সিনেটর বেনেদেতো বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘ব্লু ইকোনমি’তে সাহায্য করতে চাই।
ইতালির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ৭ দশমিক ১১ শতাংশ জিডিপি অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করে একে ‘অবিশ্বাস্য’ বলেও উল্লেখ করেন। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম এবং ঢাকায় নিযুক্ত ইতালীয় রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।