মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অঞ্চলে চীনকে মোকাবিলায় আসিয়ানে সহায়তা বৃদ্ধির প্রতিশ্রতি দিয়েছেন।
জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন এবং আসিয়ান নিজেদের সম্পর্ককে একটি ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারীত্বে’ উন্নীত করেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ প্রসারিত করেছে।
বাইডেন মিসরে অনুষ্ঠিত কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলন থেকে আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিমানে সরাসরি কম্বোডিয়ার রাজধানীতে আসেন। আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, আমার প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আসিয়ান। তিনি এই অংশীদারীত্বকে ওয়াশিংটন এবং ১০ জাতির এই জোটের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা বলে অভিহিত করেন।
আসিয়ানের তিন দিনের সম্মেলন চলার মাঝামাঝি সময়ে কম্বোডিয়ায় আসেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান নেতাদের বৈঠকও সম্মেলনের ব্যস্ত সূচির অংশ ছিল। একইসঙ্গে জোট সদস্যদের সঙ্গে উত্তরপূর্ব এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠকও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিজের প্রথম সফরে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান— উভয় পক্ষই আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় ইস্যু বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে আমাদের অংশীদারীত্বের জন্য গুরুতর হমকি এবং আইনের শাসনের প্রতি হুমকি মোকাবিলা করবে।
বাইডেন বলেন, আমাদের এই পথচলার পেছনে ওয়াশিংটন কেবল কথা দিয়ে নয়, সম্পদও ঢালছে।
বৈঠকে হোয়াইট হাউসের একটি তথ্যপত্র প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে আসিয়ানের অংশীদারদের জন্য ৮৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । এতে আরও বলা হয়, এই অর্থ সহায়তা ক্লিন এনার্জিতে রূপান্তর, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, নিরাপত্তা আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টা, আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং আরও অনেক কিছুর উন্নতির জন্য দেওয়া হয়েছে।
এই অর্থ গত মে মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সম্মেলনে বাইডেন প্রস্তাবিত ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেয়েও বেশি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অর্থ সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের যে প্রভাব-প্রতিপত্তি তার প্রায় সমপর্যায়ে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এতদিন আসিয়ানের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার এবং প্রধান অবকাঠামো তহবিলদাতা হিসেবে কেবল চীনকেই গণ্য করা হতো।
আরও একটি লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, বাইডেন ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আসিয়ান নেতাদের সামনে বক্তব্য রাখেন যেখানে একদিন আগে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং আসিয়ানের সঙ্গে চীনের নিজেদের কর্মসূচি, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পক্ষে সাফাই গেয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
এদিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, আসিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জাপানও বেইজিংকে মোকাবিলার চেষ্টা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।