গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে কোটি টাকা মুল্যের ২৫০ গ্রাম কোকেনসহ চট্টগ্রাম ভিত্তিক পাচারকারী চক্রের ৫ জন কে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সোমবার তাদের আটক করা হয়।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তাররা সবাই ক্যারিয়ার। কোকেনের চালান মিয়ানমার, ভারত বা শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশ হয়ে কাতারে যাচ্ছিল বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।
তারা হলেন- মিন্টু কর্মকার (৩৪), এজাহার মিয়া (৩৮), নাজিম উদ্দিন ওরফে মুন্না (৪০), মো. নাজিম উদ্দিন (৪৫) ও মো. মামুনকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রের সন্দেহভাজন অন্যতম হোতা মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) পলাতক আছেন।
মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ) গেন্ডারিয়া কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা মো. জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজারের স্থানীয় একটি গাড়ির চালক। বেশ কয়েক বছর ধরে জাহাঙ্গীর আলম এবং গ্রেপ্তার পাঁচ জন মিলে এ ধরনের মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত। প্রথমে ইয়াবা ও আইসের ব্যবসা করছিলেন তারা। পরে অন্য একটি চক্রের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে অধিক মুনাফা লাভের আশায় কোকেন পাচারে যুক্ত হন।
মাদকের চালানটি কোথা থেকে এসেছে, এ ব্যাপারে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, মো. জাহাঙ্গীর আলম গভীর সমুদ্রের একটি ট্রলার থেকে এসব মাদক সংগ্রহ করেন। পরে কক্সবাজার এলাকায় তাদের কাছে হস্তান্তর করেন ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার জন্য। গ্রেপ্তাররা সবাই ক্যারিয়ার। কোকেনের চালান মিয়ানমার, ভারত বা শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশ হয়ে কাতারে যাচ্ছিল বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।
এসব কোকেন বাংলাদেশ থেকে কাতারে কীভাবে বাজারজাত করার পরিকল্পনা ছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের সন্ধানে যারা কাতার যাচ্ছিল তাদের টার্গেট করতো এই চক্রের সদস্যরা। এছাড়াও কাতারগামী বিভিন্ন যাত্রীকে তারা টার্গেট করতো। পরে তাদের বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে আর্থিক বিষয়টি সামনে এনে মাদক পাচারে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতো। এর আগেও এ ধরনের কোকেন পাচার করেছে কিনা বা এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছেন কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে কর্মকর্তারা জানান, জব্দকৃত ২৫০ গ্রাম কোকেনের বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। কক্সবাজার থেকে রাজধানীতে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারলে তারা এ থেকে ২০ ভাগ কমিশন পেতেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য দিয়েছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, মাদক পাচার চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন পেশার আড়ালে এ ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল। যাদের আমরা গ্রেপ্তার করেছি তাদের মধ্যে মিন্টু কর্মকার মোবাইল সার্ভিসিং দোকানের মালিক, এজাহার মিয়া মাছের ঘেরের মালিক, নাজিমুদ্দিন ওরফে মুন্না ফলের ব্যবসায়ী, নাজিমউদ্দিন ফলের দোকানের কর্মচারী ও মো. মামুন গাড়িচালক। আর এই চক্রের অন্যতম হোতা জাহাঙ্গীর আলমও গাড়িচালক। সে পলাতক। তাকে ধরতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।