বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১২) অপহরণের ১৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার ও মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম ছাত্রীকে আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে (০৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন, চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি মো. জহুরুল আলম তিহান (১৬) চন্দ্রগঞ্জ ইউপির পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের নূরআলম স্বপনের ছেলে। পুলিশ জানায়, তিহান নিজ এলাকায় একটি কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান। তার নেতৃত্বে গঠিত ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবত স্কুলগামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (০৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে চন্দ্রগঞ্জস্থ আফজাল রোডের মোড় থেকে জহুরুল আলম তিহান ও তার সহপাঠী ৫/৬ জন মিলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। অপহৃত ছাত্রী তার মা-বাবাসহ স্থানীয় একটি বহুতল বিশিষ্ট বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের পৈত্রিকবাড়ি চাটখিল থানা এলাকায়।
প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১১ এর সহায়তায় পুলিশ সোনাইমুড়ি থানাধীন আমিশাপাড়া এলাকার জনৈক কাউছার মিয়ার পাকা দালান থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ ঘটনার প্রধান আসামি তিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে ভিকটিম স্কুলছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০২০ এর ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এতে মো. রাসেল (২০), মো. ওমর (১৯)সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার পূর্বক আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি নিয়ে তাকে তার পিতার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।