মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে লিজ ট্রাস ইস্তফা দিতেই নতুন করে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর লড়াই। এই লড়াইয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হতেই, ঋষি সুনাককে প্রধানমন্ত্রীর গদির দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে বললেন বরিস জনসন। ফের যেন তাকেই প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়, এমনটাই আর্জি জানিয়েছেন জনসন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর গদি যখন টালমাটাল, সেই সময়ই ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। পদ হারানোর জন্য কিছুটা দায়ী করেছিলেন ঋষি সুনাককে। সেই কারণেই তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়েছিলেন, তখন দলের সদস্যদের তাকে ভোট না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন জনসন। গদি হারানোর পরই তিক্ততা তৈরি হয়েছিল ঋষি সুনাকের সঙ্গে। সেই কারণেই ঋষি সুনাকের বদলে মনে-প্রাণে সমর্থন জানিয়েছিলেন লিজ ট্রাসকে। সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন লিজ, কিন্তু তার পদের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৪৫ দিন।
মাত্র ছয় সপ্তাহ আগেই বরিস জনসনকে সরিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন লিজ ট্রাস। ওই সময় নির্বাচনে তার মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ব্রিটেনের সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর প্রথম মিনি বাজেট পেশ করতেই দলের রোষানলের মুখে পড়েন লিজ। কনজারভেটিভ পার্টির একাংশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ‘ভুল’ হয়ে গেছে বলে ট্রাসকে গদি থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে পদচ্যুত করার আগে বৃহস্পতিবার নিজে থেকেই ইস্তফা দিয়ে দেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কনজারভেটিভ পার্টির অন্যতম পছন্দ গত নির্বাচনের শেষ দফায় হেরে যাওয়া ঋষি সুনাক।
তবে একা ঋষি নন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এবার রয়েছেন বরিস জনসনও। তার সমর্থনে কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যদের একটা বড় অংশই জানিয়েছে যে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হওয়ার কথা, সেই নির্বাচনে হারের হাত থেকে একমাত্র রক্ষা করতে পারেন বরিস জনসনই।
দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নাম উঠে আসতেই ঋষি সুনাককে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন বরিস জনসন। সম্প্রতিই দুইজনের মধ্যে বিরোধের যে চিত্র জনসমক্ষে উঠে এসেছিল, তা মিটমাট করে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন, এমনটাও দাবি করেছেন বরিস।
আগামী সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই জানা যাবে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।