মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার। তবে এই পাউডারে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উপাদান নিয়ে আগেই বিশ্বজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। আর এর জেরেই এবার বিশ্বজুড়ে ট্যালক-ভিত্তিক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
ওষুধ প্রস্তুতকারক এই সংস্থাটি বৃহস্পতিবার বলেছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ট্যালক-ভিত্তিক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করবে জনসন অ্যান্ড জনসন। হাজার হাজার ভোক্তা নিজেদের সুরক্ষায় মামলা দায়ের করার পর ২০২০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আর এর দুই বছরেরও বেশি সময় পর এবার ২০২৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এই পণ্যটি বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো। বৃহস্পতিবার জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসাবে আমরা সকল কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার পোর্টফোলিওতে রূপান্তর করার বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংস্থাটি আরও বলেছে, কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিনড়ব দেশে বিক্রি করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ট্যালক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। সেসময় কারণ হিসেবে সংস্থাটি জানায়, আইনি চ্যালেঞ্জের বাধার মধ্যে পণ্যটির নিরাপত্তা সম্পর্কে ‘ভুল তথ্য’ ছড়িয়ে পড়ার কারণে চাহিদা কমে গেছে।
রয়টার্স বলছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে এই উপাদান থেকে হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সার। মূলত এই কারণেই কোম্পানিটি ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৮ হাজার মামলার সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়া ভোক্তাদের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা দাবি করেছেন, জনসনের ট্যালক পণ্যে থাকা অ্যাসবেস্টসের মাধ্যমে দূষণের কারণে ক্যান্সার সৃষ্টি করেছে। অ্যাসবেস্টস মূলত কার্সিনোজেন নামে পরিচিত। মূলত অ্যাসবেস্টস থেকে নানা ধরনের ক্যান্সার হয়। তাই অ্যাসবেস্টসকে বলা হয় ‘কার্সিনোজেন’। অবশ্য জনসন অ্যান্ড জনসন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দেওয়া অনুমোদন তাদের ট্যালক পণ্যকে নিরাপদ এবং অ্যাসবেস্টস-মুক্ত বলে প্রমাণ করেছে। বৃহস্পতিবারও প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিবৃতিতে ফের এটিই পুনর্ব্যক্ত করে এবং পণ্যটি বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।