Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় নেয়ার পর কী করবেন বরিস জনসন?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:২১ পিএম

১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় নেওয়ার পর কী করবেন বরিস জনসন? জনসনের ভবিষ্যত নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। তিনি রাজনীতিতেই থাকবেন বলে দাবি করেছেন জনসন ঘনিষ্ঠতের একাংশ। সাংবাদিকতা পেশাতেই জনসন ফিরে যেতে পারেন বলে মনে করছে অন্য একটি মহল। ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগের পর বরিস জনসন কোন পেশায় যাবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। নিজেও তার কোনও ইঙ্গিত দেননি। বরিসের ভবিষ্যত নিয়ে এখন জোর চর্চা ব্রিটিশ রাজনীতিতে।

প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পাকাপাকি বিদায় নেয়ার পর বরিস জনসন তার পুরনো পেশা সাংবাদিকতায় ফিরে যেতে পারেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ, একজন কলামিস্ট, লেখক, টিভি হোস্ট এবং ডকুমেন্টারি নির্মাতা হিসেবে তার একটা পরিচিতি আছে। অনেকের কাছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে, একজন সেলিব্রেটি হিসেবে বেশি গ্রহণযোগ্যতা ছিল তার। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জনসনের পেশাগত জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল সাংবাদিকতা। লন্ডনের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় কলাম লিখতেন। লেখার জন্য মাসে ২ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড বেতনও পেতেন বরিস। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি ছিলেন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ম্যাগাজিন- দ্য স্পেক্টেটরের সম্পাদক।

একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কলাম লেখার পাশাপাশি প্রথাগত সাহিত্যবিষয়ক লেখাতেও হাতযশ রয়েছে বরিস জনসনের। এর মধ্যে তার লেখা আটটি বই বেড়িয়েছে। এর মধ্যে তার রাজনৈতিক হিরো তথা প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের উপর জীবনীও লিখেছেন তিনি। লেখালেখির মধ্যে ডুব দিতে পারেন পদত্যাগী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ডাউনিং স্ট্রিটে ঢোকার সময় উইলিয়াম শেক্সপিয়াকে নিয়ে একটি বই লেখার কথা বলেছিলেন। ব্যস্ততার জন্য বই লেখা হয়ে ওঠেনি। ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়ার পর শেক্সপিয়ারকে নিয়ে বই লেখার কাজে বরিস হাত লাগাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জনসন ঘনিষ্ঠরা বলছেন, বক্তৃতা দিয়ে বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ২০১৯ সালে একটি ব্যাঙ্ক এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে বক্তৃতা দিয়ে এক লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড আয় করেছিলেন জনসন। জনসন কনজারভেটিভ পার্টির আইন প্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। আইনসভায় তার উপস্থিতি যে এখনই শেষ হচ্ছে না, তার ইঙ্গিত জনসনের উপদেষ্টা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সময়ের আগে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে যে সরে যেতে হবে, তা জনসন কল্পনা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলের কেউ কেউ দাবি করেছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কী করবেন, তা জানতে আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। সূত্র: বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ