মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ব্যাচের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সস্তা কিন্তু কার্যকর ড্রোন সরবরাহ করতে সম্মত হয়ে ইরান ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি আরও গভীর করেছে।
আসন্ন শীতের আগে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোকে পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করার একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইরানের সারফেস-টু-সারফেস ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করদে পারে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব, বেন ওয়ালেস, যুদ্ধের বিপজ্জনক নতুন পর্ব নিয়ে আলোচনা করতে, ইরানের জড়িত থাকার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য জানাতে জন্য এবং রুশ আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য ইউক্রেনকে নতুন বিমান প্রতিরক্ষার কী প্যাকেজ সরবরাহ করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে সংক্ষিপ্ত নোটিশে ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন।
৬ অক্টোবর এ নিয়ে রাশিয়া-ইরানের চুক্তি হয়। এদিন ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার, ইরান রেভ্যুলেশনারী গার্ডের দুইজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দুইজন কর্মকর্তা রাশিয়ার মস্কো সফরে যান। তারা রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে কথা বলতে যান। ইরানের একজন কূটনীতিক এ সফর সম্পর্কে জানিয়েছেন, রাশিয়ানরা আরও ড্রোন এবং আরও উন্নত নিখুঁত মিসাইল চেয়েছে, বিশেষ করে ফাতেহ এবং জোলফাঘার মিসাইল।
এ দুটি স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যথাক্রমে ৩০০ কিমি (১৮৫ মাইল) এবং ৭০০কিমি (৪৩৫ মাইল) দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ওই কূটনীতিক আরও বলেছেন, এগুলো (অস্ত্র) কোথায় ব্যবহার হবে সেগুলো বিক্রেতার (ইরানের) দেখার বিষয় না। আমরা পশ্চিমাদের মতো ইউক্রেন যুদ্ধে পক্ষ নেইনি। আমরা কূটনীতির মাধ্যমে এ দ্বন্দ্বের অবসান চাই।
তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে ইরান ২০১৫ সালের জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন ভঙ্গ করেনি। এ রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও ছয়টি দেশের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল ইরান। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা মঙ্গলবার বলেছেন যে, তিনি তার জাতিকে ইরানের সাথে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, ইউক্রেন ইস্যুতে ইরানের ‘অশালীনতা এবং মিথ্যা’ সহ্য করবে না। হোয়াইট হাউস সরাসরি ইরানকে ড্রোন বিক্রির বিষয়ে মিথ্যা বলে অভিযুক্ত করেছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আরও সতর্ক ছিল। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন যে, শত শত ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে, এবং অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।