গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামী খলিলুর রহমানকে সাভার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় খলিলুর রহমান নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধবংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যায় জরিত ছিল। সে ২২জনকে হত্যা, ১জনকে ধর্ষণ, ১জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ এর ২০১৭ সালের ৯নং মামলার অভিযোগপত্র তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মো. খলিলুর রহমানসহ তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই এলাকার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তরাব আলীর ছেলে আশক আলী, জানিরগাঁও ইউনিয়নের কদর আলীর ছেলে শাহনেওয়াজ এবং একই এলাকার রমজান আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ধবংস করা, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পাঁচজন আসামির মধ্যে মো. খলিলুর রহমান ব্যতিত সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং বিচারকালীন সময় চারজন আসামি বিভিন্ন সময় মৃত্যুবরণ করে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ৪টিতে মৃত্যুদন্ড ও ১টিতে ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করেন।
গ্রেপ্তার আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার মঈন জানায়, ২০১৫ সাল থেকে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহীত হলে সে আত্মগোপনে চলে যায় এবং রাজধানীর দক্ষিনখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আত্মগোপনে থাকার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার এড়াতে সে নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করত একাই থাকতো। এসময় যোগাযোগের জন্য সে কোন ধরণের মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। কিন্তু মাঝে মাঝে তার পরিবারের সদস্যরা গোপনে তার সাথে দেখা করত। তার ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য তারা নিয়মিত অর্থ প্রদান করত।
মামলার রায় ঘোষণার পর সে গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় তার অবস্থান নিরাপদ নয় ভেবে স্থান পরিবর্তন করে সাভারে আত্মগোপন করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ১৯৫৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিল। যুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নের আল বদর বাহিনীতে কমান্ডার হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধবংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যায় জরিত ছিল।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগে ২২জনকে হত্যা, ১জনকে ধর্ষণ, ১জনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহƒত ৪জনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।