Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রশ্ন : কবরের চারপাশে বাঁশ গাঁথার সময় চার কুল পড়া কি জায়েয?
উত্তর : কবরের চারপাশে বাঁশ বা অন্যকিছু গাঁথারই নিয়ম নেই। এসময় চার কুল বা অন্য কোনো দোয়া সূরা ইত্যাদি পাঠ সুন্নাহর অন্তর্ভূক্ত নয়। এসব স্থানীয় পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য তৈরি। দোয়া কালাম পাঠ করা আবশ্যিক মনে করা বিদআ’ত। তবে, ঐচ্ছিক হিসাবে যে কোনো সময় যে কোনো কাজে মানুষ আল্লাহর জিকির করতে পারে। উত্তম জিকির হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াত। নিষিদ্ধ সময় ও স্থান ছাড়া নফর ইবাদতে কোনো বাধা নেই।
প্রশ্ন : আমার স্ত্রী রাগান্বিত হলে তার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যাকে তাকে গালমন্দ করে। স্বামীকেও ছাড়ে না। এমনকি স্বামীর পিতা মাতাকে ও অন্যান্য মুরব্বীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এমনকি .... বাচ্চা, ..... বাচ্চা এসবও বলে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হয়।
উত্তর : মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকি কাজ। বড় গুনাহ। রাগের সময় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা একট মারাত্মক আত্মিক রোগ। অতিরিক্ত রাগও শরীয়তে নিন্দনীয়। রাগের সময় বলা হয়েছে দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়। হাত-মুখ ধুয়ে অজু করে শান্ত হও। যদি রাগের কারণ ঘটে তবুও অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করা যাবে না। এসব ভাষা অভ্যাস থেকে আসে। পারিবারিক শিক্ষার অভাবেও আসে। এমন আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। সংযম ও ধৈর্য শিখতে হবে। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আল্লাহ সদাচরণকারীদের ভালোবাসেন। যারা রাগকে সংবরণ করে, ক্রোধ গিলে ফেলে, মানুষের ভুল ক্ষমা করে দেয়, উপরন্তু তাদের প্রতি অনুগ্রহ করে।’ আল কোরআন। এমন হতে হবে। বিশেষ করে সম্মানিত ও বড়দের তো গালি দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। স্বামীকে স্ত্রী গালি দিতে পারে না। বুঝিয়ে বলতে পারে। স্বামীর পিতা-মাতা ও মুরব্বীদের গালি দেওয়া কল্পনাও করা যায় না। স্ত্রীকে এসব বুঝেই চলতে হবে। তবে যদি স্বামীর এমন কোনো দোষ থাকে, যে জন্য স্ত্রী পাগলের মতো হয়ে গালাগালি করে, তাহলে এর অন্য প্রতিকার আছে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি নয়। আর মুরব্বীদের তো গালি দেওয়ার কোনো যুক্তি বা কারণই থাকতে পারে না। এখানে কি সমস্যা, তা বুঝতে হলে কেস স্টাডি করতে হবে। বড় আলেম বা মুফতিরা এর সমাধান দিতে চেষ্টা করবেন। তবে, গালি দেওয়ার কোনো বৈধতা বা সুযোগ নেই।
প্রশ্ন : বিয়ের সুন্নত তরিকা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর : বিয়েতে প্রস্তাব দেয়া ও কবুল করা। দেনমোহর নির্ধারিত করা এবং কমপক্ষে দু’জন সাক্ষীর সামনে এ বন্ধনটি হওয়া। সম্ভব হলে ছেলে বিয়ের পর নিজ লোকজনকে একবেলা খানা খাওয়ানো। এ পর্যন্তই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এর বাইরে আর কিছুই শরিয়তের বিধান নয়। কোনো গুনাহের কাজ তো সমর্থন করার প্রশ্নই উঠে না। প্রয়োজনের বাইরে জরুরি কাজেও অপচয় করা, মেয়ের বাবার ওপর কোনো আর্থিক চাপ, সামাজিকতার চাপ ইসলামী বিয়েকে কলুষিত করে। দেশীয় অপসংস্কৃতি কিংবা বিধর্মীদের কালচার বিয়েকে অভিশপ্ত করে। সুন্নত তরিকার বিয়ে খুবই সহজ। কোনো ভালো আলেমের কাছ থেকে জেনে নিন। একখানা হাদিস মনে রাখবেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, সবচেয়ে বেশি বরকত সেই বিয়ে হয়, যাতে খরচের চাপ সবচেয়ে কম থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

২৯ অক্টোবর, ২০২২
২২ অক্টোবর, ২০২২
১৫ অক্টোবর, ২০২২
৮ অক্টোবর, ২০২২
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ