চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
উত্তর : অমুসলিম, পাগল, নাবালক ও হায়েজ-নিফাসী মহিলা। তবে এদের কাছ থেকে অন্য মুসলমান শুনলে তার উপর ওয়াজিব হবে।
প্রশ্ন : নামায ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত কি?
উত্তর : ১. ইসলাম বা মুসলমান হওয়া। ২. সুস্থ মস্তিষ্ক হওয়া। ৩. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। ৪. নামাযের ওয়াক্ত পাওয়া। সুতরাং, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মুসলমানের উপর কোরআন-হাদীস ও ইজমা দ্বারা নির্ধারিত ওয়াক্তের মধ্যে নামাজ আদায় করা ফরযে আইন। কোন শরয়ী ওযর ছাড়া নামায ত্যাগকারী ফাসেক এবং নামাযের গুরুত্ব অস্বীকারকারী কাফের বলে সাব্যস্ত হবে।
প্রশ্ন : কিবলামুখী হওয়ার ব্যাপারে মক্কাবাসী এবং অন্যান্য শহরে বসবাসকারী মুসলমানের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
উত্তর : হাঁ, আছে। কিবলার ব্যাপারে তিন ধরনের নির্দেশ রয়েছে। ১. শরীয়তের দৃষ্টিতে মসজিদে হারামে অবস্থানকারীরা সোজা কা’বা ঘর-এর দিকে মুখ করে নামায পড়বে। ২. মক্কা নগরীতে অবস্থানকারীরা নামায পড়বে মসজিদে হারাম বা হারাম শরীফ-এর দিকে ফিরে। ৩. আর বিশ্ববাসীর জন্যে কিবলার দিক হলো মক্কানগরীর দিক।
প্রশ্ন : চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের তিন রাকাত জামাতের সাথে পড়তে না পারলে বা ছুটে গেলে এই তিন রাকাত পড়ার নিয়ম কি বা কিভাবে পড়তে হবে?
উত্তর : নিজের পাওয়া এক রাকাতকে শেষ করে ইমামের সালামের পর দাঁড়িয়ে নতুন রাকাতটিকে নিজের প্রথম রাকাত ধরে বাকী নামাজ শেষ করবেন। অর্থাৎ, নতুন রাকাত ও এর পরের রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে কেরাত বা সুরা মেলাবে। এরপর নিজের তৃতীয় রাকাত যেভাবে পড়ার পড়বে আর ইমামের সাথে পাওয়া রাকাতটি হবে তার জন্য শেষ রাকাত। উল্লেখ্য যে, এ মুসল্লী ইমামের পর প্রথম রাকাত এবং তার পুরো নামাজের দ্বিতীয় রাকাত শেষে তাশাহুদ বৈঠক করবে। আর শেষ বৈঠক করবে শেষ রাকাতে।
প্রশ্ন : প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমা টাকার বিপরীতে বছর শেষে যে সুদ দেখানো হয় তা গ্রহণ করা যাবে কি না বা কোন কোন খাতে ব্যয় করা যাবে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর : প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমা টাকা যতক্ষণ না তোলা হয়, ততক্ষণ এর আসল, নিজের জমা, সরকারের দেয়া ইত্যাদি কিছুই চাকরিজীবীর জন্য দেখার প্রয়োজন নেই। যা পাওয়া যায়, সবই তিনি নিতে পারবেন। নিজে তা তুলে ফেলার পর আবার যেখানেই রাখা হোক, সরকারি ফান্ডে কিংবা প্রাইভেট ফান্ডে তখন আর এতে যোগ হওয়া সুদ তিনি নিতে পারবেন না। কোনো কারণে সুদ এসে গেলে তাতে সুদ নেয়ার গুনাহ হবে। সুদ তুলে তা কোনো নেকি হাসিলের জন্য খরচ করলে ঈমান থাকে না। তবে নেকি বা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া ফেলে দেয়ার মতো কোথাও দিয়ে দেয়া যায়। কোনো পবিত্র কাজে তা না দেয়াই ভালো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।