চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : মহিলারা কি কবর জিয়ারত করতে পারবে? জানাজার নামাজে শরিক হতে পারবে আলাদাভাবে?
উত্তর : মহিলাদের জন্য জনসাধারণের গোরস্তানে যাওয়া নিষেধ। এর কারণ, হাদিস শরিফে বলা কারণসমূহের মধ্যে এমন ইশারা পাওয়া যায় যে, মহিলারা হন নরম হৃদয়ের অধিকারী। কান্না, বিলাপ, মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি মহিলারাই বেশি করে থাকেন। বিশেষ করে নিজ সন্তান বা নিকটাত্মীয়ের কবর পাশে তারা নিজেদের সামলে রাখতে পারেন না। এসব নিয়ে সিনক্রিয়েট হয় অনেক বেশি। তাদের পোশাক-আশাক, অঙ্গ-ভঙ্গি অনেক সময় ঠিক থাকে না। বেগানা পুরুষ এসব দেখে গোনাহগার হতে পারে। সমান গোনাহগার এই দুঃখভারাক্রান্ত নারীরও হতে হবে। বিশেষ করে একটি বয়সে নারীরা নিয়মিত অসুস্থ হন, তাদের শরীর পাক থাকে না ইত্যাদি কারণে সাধারণ কবরস্থানে নারীদের বিচরণ নিষিদ্ধ। এটি ইসলামের শত্রুরা নারীর প্রতি অমর্যাদা হিসেবে দেখাতে চেষ্টা করে। যারা শরিয়ত মানেন, তারা বেগানা পুরুষের কবরের পাশেও পর্দা রক্ষা করেন। অবশ্য একাকী কবর কিংবা পারিবারিক কবর কাছে থেকে দেখা বা নিকটে আসা-যাওয়া করা আত্মীয় নারীর জন্য কড়া নিষেধ নয়। সব শর্ত রক্ষা করে নারীরাও নিকটজনের কবরে যেতে পারেন। তবে, তাদের জন্য কবর জিয়ারতের সাধারণ নিয়ম প্রযোজ্য নয়। নবী করিম (সা.) এর রওজার পাশে নারীরা যেমন দরূদ-সালাম পেশ করতে পারেন, নিজ মাহরামের একাকী কবরেও তারা দোয়া করতে পারেন। আম গোরস্তানে গিয়ে নয়, যেখানে নানারকম মানুষকে কবর দেয়া হয়েছে। নারীরা জানাজার নামাজে শরিক হওয়ার কোনো বিধান শরিয়তে নেই। আলাদাভাবে বা মূল জামাতে কোথাও তারা জানাজা পড়তে পারবেন না। তারা দোয়া, দরূদ, তিলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদি করতে পারবেন। জানাজা তাদের ওপর ওয়াজিব নয়।
প্রশ্ন : স্বামীকে না বলে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেয়া কি স্ত্রীর জন্য গুনাহের কাজ হবে?
উত্তর : গুনাহের কাজ হবে। কারণ, স্ত্রীকে প্রদত্ত টাকা-পয়সা ছাড়া স্বামীর বাকি টাকা তার একান্ত নিজের। এসব সম্মতি ছাড়া স্ত্রী স্পর্শও করতে পারবে না। না বলে নিলে গুনাহ হবে। অবশ্য যদি জরুরি প্রয়োজনে নেয়, আর এতে স্বামীর সম্মতি থাকবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে, কিংবা সংসারের প্রয়োজনেই নেয়, বলতে গেলে যা স্বামীর পক্ষ থেকেই নেয়া তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কেবল নিজের প্রয়োজনে নিলেও পরে বলে তার সম্মতি নিয়ে নিতে হবে। এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সমঝোতা ও বোঝের ব্যাপার।
প্রশ্ন : জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কখনো মানুষের রূপে নবীর সাথে দেখা করেছিলেন?
উত্তর : বেশ কয়েকবার করেছিলেন। একবার তো মসজিদে নববীতে সাহাবীদের সমাবেশেই হাজির হয়ে ছিলেন। হযরত জিবরাঈল আ. নানা সময় বিভিন্ন মানুষের রূপে এসেছেন। তবে, বেশির ভাগ সময় সাহাবী হযরত দিহয়াতুল কালবী রা. এর রূপ ধরে আসতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।