চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : টেলিভিশন বা ইউটিউব দেখা জায়েজ কিনা বা দেখলে গুনাহ হয় কিনা ?
উত্তর : এসবই প্রচারমাধ্যম। তথ্য জ্ঞান ও সংবাদ এসবের মূল উদ্দেশ্য। এসবের ভালো বিষয়ও থাকে খারাপ বিষয়ও থাকে। অতএব, এক কথায় এ মাধ্যমগুলোক জায়েজ বা নাজায়েজ বলার সুযোগ নেই। ভালো বিষয় চর্চা করলে জায়েজ, খারাপ বিষয় চর্চা করলে তখন নাজায়েজের সম্ভাবনা থাকে। তবে, হারাম বা নাজায়েজ বিষয় চর্চা করলে অবশ্যই নাজায়েজ হবে। তাকওয়ার স্বার্থে এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো। তবে, এসবের ব্যবহার কখন প্রয়োজন বা কোন পর্যায়ে এসবের ব্যবহার শরীয়ত অনুমোদন করে তা বড় আলেম বা মুফতিরাই ফায়সালা দিবেন। অবস্থা ও ক্ষেত্রভেদে মাসআলার সমাধান বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। শরীয়তের মূলনীতি ‘আজ জরুরাতু তুবীহুল মাহজুরাত’ অর্থাৎ, অপরিহার্য আবশ্যিকতা অনেক সময় নিষিদ্ধ বিষয়ে বৈধতা বা ছাড় পাওয়ার কারণ হয়ে থাকে। এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট সমস্যা ও সমাধান যুগের পরহেজগার এবং নির্ভরযোগ্য ফকীহগণই দিতে পারেন।
প্রশ্ন : কোরআন শরীফ কতটুকু শিক্ষা করা ফরজ? কোরআন হেফজ করা কি?
উত্তর : ফরজ নামাজ পড়ার জন্য যতটুকু সূরা-কেরাআত জানা প্রয়োজন ততটুকু পরিমাণ কোরআন শিক্ষা করা ফরজ। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, এর তরজমা ও তাফসীর অধ্যয়ন এবং কোরআন শরীফ হেফজ বা মুখস্থ করা অনেক পূণ্যের কাজ। মুসলিম জাতির যোগ্য ও মেধাবী সদস্যদের পক্ষে আল কোরআন নিয়ে গবেষণা করা একটি অপরিহার্য কর্তব্য। ইসলামী বিধানের আলোকে জীবনযাপন করার জন্যে যতটুকু ইলমে দীন বা কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান শিক্ষা করা দরকার ততটুকু হাসিল করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর ফরজ।
প্রশ্ন : আমার বাবার আপন মামার মেয়েকে কি আমি বিয়ে করতে পারব?
উত্তর : পারবেন। কারণ, শরীয়তে চির নিষিদ্ধ ১৪ নারীর তালিকায় এ মহিলা নেই। আপনার বাবার মামা হচ্ছেন আপনার দাদা। তার কন্যা আপনার ফুফু। তার সাথে আপনার কঠিন পর্দা। সামাজিক বিষয় ছাড়া এ মহিলার সাথে আপনার বিবাহ নিষিদ্ধ হওয়ার মতো কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং এমন ফুফুকে অন্য কোনো বাধা না থাকলে বিয়ে করা যাবে।
প্রশ্ন : যারা অনিয়মিতভাবে নামাজ পড়ে, তাদের ঈমান কোন পর্যায়ে থাকে? নামাজ-কালাম না পড়ে ঈমান আছে বলে দাবী করা কি ঠিক?
উত্তর : আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের পর ইসলামের সর্বাপেক্ষা বড় ফরজ হলো নামাজ। নামাজ না পড়লে একটা মানুষের ঈমান চরম দুর্বল পর্যায়ে চলে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেওয়া একটি ঈমানবিরোধী কাজ। নামাজ-কালাম না পড়ে ঈমান আছে বলে দাবী করা যায় তবে সে ঈমান পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। শরীয়তের কাঙ্খিত ঈমানের জন্য অন্তত: শরীয়তের ফরজ ওয়াজিব আমলসমূহ বিশেষভাবে অপরিহার্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।