চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : কেউ যদি অ্যালকোহল জাতীয় ড্রিংকস খায় তাহলে কত ঘণ্টা পর্যন্ত তার শরীর নাপাক থাকবে বা নামাজ পড়তে পারবে না, যদিও সে সম্পূর্ণ হুঁশ ফিরে পায়।
উত্তর : হুঁশ ফিরে পাওয়ার পরই নামাজ পড়তে পারবে। তবে, ড্রিংসের নাপাকি শরীর ও কাপড় থেকে দূর করা অবশ্য কর্তব্য। মাতলামি বা মানসিক বৈকল্য দূর হওয়া পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না। তবে যখন নামাজ ও এর নিয়মকানুন বোঝার মতো মন মানসিকতা ফিরে আসে তখনই পবিত্র হয়ে নামাজ পড়তে পারবে।
প্রশ্ন : হজরত আদম (আ.)-এর আমলে তাঁর উম্মতদের জন্য দৈনিক কত ওয়াক্ত, কত রাকাত নামাজ পড়া বিধিবদ্ধ ছিল?
উত্তর : হজরত আদম (আ.)-এর আমলে ইবাদতগত শরিয়ত নাজিল হয়নি। তখন মানব সভ্যতা ও জীবন সংগ্রাম সংক্রান্ত ওহি নাজিল হতো বেশি। পাশাপাশি লেনদেন, সামাজিকতা ও নৈতিক বিধান ক্রমান্বয়ে নাজিল হতে থাকত। তবে, আল্লাহর সাথে নিসবত, তায়াল্লুক, তাওহিদ, রিসালত, আখেরাত এবং জিকর ও ফিকর পুরোমাত্রায় ছিল। বিধিবদ্ধ আকারে আমলী শরিয়ত ছিল না বলে অসংখ্য কিতাবাদীতে পাওয়া যায়। সর্বপ্রথম আমলগত শরিয়ত, বিচার ও সমাজব্যবস্থা হজরত নূহ (আ.)-এর যুগে বিধিবদ্ধ হয়। তবে, সমর্থিত ইসরাইলি বর্ণনা ও কিছু তাফসিরকারকের মতে, দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণে দুই ওয়াক্ত নামাজ, দুই রাকাত করে পাঠ্য ছিল। তবে, তার ধরণ কি ছিল সেটি আমাদের জানার উপায় নেই। কেননা, তখন সূরা ফাতিহা ছিল না। আর পবিত্র কুরআনও নাজিল হয়নি, হজরত আদম (আ.)-এর নিকট কোনো আসমানী কিতাব এসেছে বলেও বর্ণনায় পাওয়া যায় না। তবে, তাসবিহ, তাহলিল, তাকবির, হামদ ও সানা বিশিষ্ট ইবাদত থেকে থাকবে।
প্রশ্ন : আমি বিদেশে থাকি, যেখানে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আমি যদি মাটির টুকরো দিয়ে তায়াম্মুম করে নামাজ পড়ি তাহলে কি কবুল হবে?
উত্তর : সহ্য করার মতো ঠাণ্ডায় অজুই করতে হবে। গরম পানিতে অজুর ব্যবস্থা করুন। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে চামড়ার মোজা ব্যবহার করুন। অন্তত ২৪ ঘণ্টা পা দু’টোতে পানি লাগাতে হবে না। মাসয়ালা নির্ভরযোগ্য আলেমের কাছ থেকে জেনে নিন। শীতে কেবল তখনই মাটির টুকরো দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে, যখন মৃত্যুর ভয় থাকে। রোগ বেড়ে মহাবিপদের আশঙ্কা থাকে। কিংবা কোনো ঈমানদার নামাজি ও দ্বীনি এলেমওয়ালা ডাক্তারের পরামর্শ থাকে। আপনার যদি এসব শর্ত না থেকে থাকে, তাহলে খুব কষ্ট করে হলেও অজু করে নেবেন এবং অজু শেষে সাথে সাথে পানি তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে তেল বা লোশন মেখে গরম কাপড়, মাফলার, মোজা ইত্যাদি পরে নেবেন। শারীরিক সমস্যা না হলে এক অজু দিয়ে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। যেমন- জোহর আসর মাগরিব। সম্ভব হলে এশা। শুধু ফজরে নতুন অজু করবেন। জোহর যেহেতু অনেক দেরিতে হয়, তখনো নতুন অজু করবেন। বারবার ফ্রেশ হওয়ার প্রয়োজন না হলে বা গ্যাস সমস্যা না থাকলে আসর মাগরিব-এশা এক অজুতে পড়লে কোনো অসুবিধা নেই। এ জন্য রুটিন মতো অল্প পানাহার করা বেশ উপকারী। আলোচনা থেকে পরামর্শ ও মাসয়ালার উত্তর নিজ জ্ঞান মতো খুঁজে নিন। নতুন কোনো প্রশ্ন দেখা দিলে জিজ্ঞাসা পাঠাতে দ্বিধাবোধ করবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।