Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রশ্ন : পরপর তিন জুম্মা মিস করলে শুনেছি ইসলাম হতে খারিজ হয়ে যায় এটা কি সত্যি?
উত্তর : এখানে ইসলাম থেকে খারিজ মানে কাফির হয়ে যাওয়া নয়। মুসলিম কম্যুনিটি থেকে দূরে সরে যাওয়া। অতএব, মারাত্মক অসুস্থতা, দূরের ভ্রমন, যে দেশ বা সমাজে জুমার ব্যবস্থা নেই বা শরীয়তসম্মত অন্য কোনো কারণ ছাড়া একাধারে তিন জুম্মা ছেড়ে দেওয়া খুবই নিন্দনীয় কাজ। অনেকটা ইসলাম থেকে খারিজ হওয়ার মতই। বিশেষ করে মুসলিম শাসন এলাকার যখন সামাজিকভাবে জুমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও যথাযোগ্য মর্যাদায় আদায় করা হয়। আর যে জনপদে খেলাফত বা শরীয়তী শাসন কায়েম থাকে এবং শাসক বা তার প্রতিনিধি জুমা পড়ান, সেখানে উপস্থিত থাকা অনেক বেশি জরুরী। এটি কেবল সওয়াবের জন্য নয়, জাতীয় সংহতি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওয়াজিব হুকুম, তখন সেই জুমার নামাজকে আরও বেশি ভাবগম্ভীর ও অবশ্য পালনীয় করে তোলে। সে জুমা হাজারগুণ অধিক মহিমান্বিত।
প্রশ্ন : সেক্সি বা আবেদনময়ী ড্রেস পরে আমি অফিসে যাই, এর ফলে আমার অফিসে বেশি গুরুত্ব পাই, এটি করপোরেট কালচার। কিন্তু এর ফলে আমি অনেক উপকার পাচ্ছি বা কাজে উন্নতি হচ্ছে এটি কি গুনাহের কাজ?
উত্তর : অনেক বড় গুনাহের কাজ। অনেকটা দেহব্যবসার কাছাকাছি। কারণ, এতে পর পুরুষেরা একজন সেক্সি ও আবেদনময়ী পোশাক পরিহিতা নারীকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। যা তাদের জন্য চোখ, কান, অনুভূতি ও মন-মানসিকতার জিনা বলে সাব্যস্ত। আর যাকে ঘিরে এ আয়োজন সেও এই জিনার সমান অংশীদার। এসবই কবিরা গুনাহ। এ কাজ পরিত্যাগ ও আন্তরিক তওবা ছাড়া ক্ষমার উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে জবটি যদি বৈধ হয়, তাহলে নিজ ব্যক্তিত্ব ও পর্দা রক্ষা করেও উন্নত ও আধুনিক পোশাকে চাকরিটি করা যেতে পারে। কিন্তু নিজ মেধা শ্রম ও দক্ষতার বিনিময়ে, পরপুরুষকে যৌন আনন্দ দিয়ে নয়। তাহলে পর্দা করেও এ জব করা জায়েজ হবে না।
প্রশ্ন : নির্বাচনে কোনো মুসলমানের জন্য অমুসলিম বা মুশরিক প্রার্থীকে ভোট দেওয়া জায়েজ কি না? বিশেষত সেখানে যদি মুসলিম প্রার্থী থাকে।
উত্তর : নির্বাচনটি কি সেটি বুঝতে হবে। যদি প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়ায় এবং তার ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসকে প্রাধান্য দিতে চায়, তাহলে মুসলিম প্রার্থীর বিপরীতে বিধর্মী প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে না। তবে, নির্বাচনটি যদি আদর্শ ও নীতিমালা ভিত্তিক হয়, আর মুসলমান ভোটার যে আদর্শ ও নীতিমালাকে পছন্দ করে এর প্রতিনিধি লোকটি যদি অমুসলিমও হয়, তাহলে তাকে ভোট দেওয়া যাবে। কেননা, সে তখন ব্যক্তি নয়। মুসলমানের ফেভারিট নীতি আদর্শের প্রতিনিধি মাত্র। তার প্রতিকও আদর্শের প্রতিক। এর বিপরীতে মুসলমানের আদর্শ ও নীতিমালা বিরোধী কিংবা মুসলিম সমাজের স্বার্থ বিরোধী পক্ষের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়ানো মুসলমান প্রার্থীকেও ভোট দেওয়া যাবে না। যেমন, মুসলিম বাহিনীর অমুসলিম সৈনিক। তাকে নাগরিকরা সাথ দিতে পারে। বিদ্রোহী মুসলমানদেরকে সাথ বা সমর্থন দিতে পারে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

২৯ অক্টোবর, ২০২২
২২ অক্টোবর, ২০২২
১৫ অক্টোবর, ২০২২
৮ অক্টোবর, ২০২২
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ