পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে সম্ভাব্য যা কিছু করতে ভারতের কাছে অনুরোধ করেছেন বলে একটি সংবাদ ও ভিডিও ক্লিপ গতমাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের পক্ষ থেকে মোমেনের এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছিল, মোমেনকে এ ধরণের দূতিয়ালি করতে আওয়ামী লীগ বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। দলের আরেকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, মোমেন আওয়ামী লীগের কেউ না। এসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ট্রল, হাস্যরস ও মিমিক্রি হতে দেখা গেছে। মন্ত্রী হওয়ার পর আব্দুল মোমেনের প্রথম মাইন্ড স্টর্মিং বক্তব্যটি ছিল, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘স্বামী-স্ত্রী’র মতো। আন্ত:দেশীয় রাজনীতিতে এমন বক্তব্য অতীতে আর কখনো শোনা যায়নি। তবে নরেন্দ্র মোদির শাসনামল শুরু হওয়ার পর ভারতের সাথে ইসরাইলের সম্পর্কও অনেকটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মত বলেই ধরে নেয়া যায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে নরেন্দ্র মোদি প্রথম ইসরাইল সফর করতে গেলে ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, স্বর্গে (ম্যারেড ইন হ্যাভেন) ভারত ও ইসরাইলের বিয়ে হয়েছিল। আমেরিকার ক্ষেত্রেও ইসরাইলের নেতারা হয়তো একই কথা বলবেন। এটি সম্ভবত একটি বিবলিক্যাল ফ্রেইজ। যাই হোক, মোমেনের সেই বক্তব্যে একটি গোপণ সমঝোতার ইস্যু প্রকাশ্য চলে আসায় আওয়ামী লীগ নেতারা হয়তো কিছুটা হতচকিত বা শরমিন্দা হয়েই তার বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন। মোমেনের চাকরি কিন্তু বহালই আছে। এমনকি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার বা সতর্ক করা হয়েছে, এমন কোনো তথ্যও আমাদের জানা নেই। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাই-প্রোফাইল ভারত সফরের প্রাক্কালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, পশ্চিমা চাপ মোকাবিলায় দিল্লীর সহযোগিতা চাইবে ঢাকা। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের উপর মূল চাপগুলো কি? এ নিয়ে খানিকটা আলোকপাত করলেই মোমেনের বক্তব্য এবং প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রতিপাদ্য অনেকটা একই সমান্তরাল রেখায় এসে দাঁড়ায়। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও আন্তর্জাতিক মানদন্ডে গ্রহণযোগ্য করার চাপ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ পশ্চিমা কূটনীতিকদের বিভিন্ন বক্তব্য ও সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উৎকণ্ঠার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। র্যাব ও পুলিশের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নেগোসিয়েশনের একটি অন্যতম এজেন্ডায় নিয়ে আসলেও এসব বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম-খুনের মত ঘটনাগুলোর সাথে সরকারের ক্ষমতার রাজনীতির নিবিড় সম্পর্কের অভিযোগ অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। গুম-খুনের শিকার বেশিরভাগই বিএনপি’র নেতা-কর্মী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং জাতিসংঘসহ পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চাপ সত্তে¡ও এ সপ্তাহে নারায়নগঞ্জে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে গুলি চালিয়ে এক যুবদল নিহত এবং ৩০-৩৫ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
বিএনপি’র ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে জেলা-উপজেলা ও মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে র্যালির আয়োজন করেছিল দলটি। গত শুক্রবারে পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বিএনপি নেতারা দেশের ৩৫টি স্থানে বিএনপির সমাবেশ সরকারিদল ও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছে। এরপর গত চারদিনে এমন হামলা-মামলা আরো বেশকিছু খবর গণমাধ্যমে এসেছে। জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে যেখানেই পুলিশ বাঁধা দিয়েছে সেখানেই উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি’র পক্ষ থেকে গত ১০ দিনে এসব ঘটনায় পুলিশের মামলায় অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ২ শতাধিক। প্রতিটি মামলায় ২০-৫০ জনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত আরো কয়েকশ’ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রেখে বিএনপি’র সাধারণ নেতা-কর্মীদের সন্ত্রস্ত করে রাখার পুরনো কৌশল প্রয়োগ করছে পুলিশ। হাতকড়ার ভয়ে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর বাস্তবতা কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে দেশের সিংহভাগ ভাগ মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল প্রত্যাশা করছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তখনো পুরনো পথেই হাঁটছে। সে সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজের অধীনে একতরফতা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশে যেমন বিরোধীদলকে হামলা-মামলা দিয়ে নিস্ক্রিয় করার ফন্দি অব্যাহত রেখেছে, অন্যদিকে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উত্তরণসহ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক তথা পশ্চিমা চাপ মোকাবেলায় এবার কোনো রাখঢাকা ছেড়ে দিয়ে ভারতের মুখাপেক্ষিতার উপর জোর দিচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পত্রিকায় প্রকাশিত এজেন্ডা থেকে এটাই প্রতিয়মান হচ্ছে।
বাংলাদেশে যে সরকারই থাকুক, ভারতের সাথে বাণিজ্য বৈষম্য বার ঘাটতি কমিয়ে আনতে ভারতের অনিচ্ছা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার কোনো সদিচ্ছার প্রতিফলন দেখা যায় না। ভারতের সহযোগিতায় পরপর তিনবার ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার ভারতের চাহিদামত উদার হস্তে এমন সব বিষয় ভারতের জন্য মেলে দিয়েছে যা ভারত কখনোই ভুলতে পারবে না। এ সময়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বাংলাদেশে এসে তিস্তার পানিচুক্তি নিয়ে আশ্বাস দিলেও গত একযুগে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিস্তার পানি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এমনকি এ সময়ে ভারতীয়দের অনীহার কারণে যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)-এর কোনো বৈঠকও হয়নি। শুকনো মওসুমে পানিবঞ্চিত করে বাংলাদেশের কৃষকদের সংকটের মুখে ঠেলে দেয়া হলেও বাংলাদেশকে না জানিয়ে যখন তখন বাঁধের ¯øুইস গেট খুলে দিয়ে পদ্মা-তিস্তা পাড়ের কৃষকদের ফসলহানি ও নদীভাঙ্গনের কবলে ফেলার ধারাবাহিক বিপর্যয় অব্যাহত রয়েছে। এ মেয়াদে সম্ভবত এটাই শেখ হাসিনার শেষ ভারত সফর। এখানে তিস্তার পানিচুক্তি আলোচনার এজেন্ডায় রাখতেই রাজি ছিল না ভারত, বাংলাদেশের দাবির প্রেক্ষিতে তা আলোচনায় সন্নিবেশিত হলেও হঠাৎ করে ভারতের ইচ্ছায় কুশিয়ারার পানি নিয়ে সমঝোতা চুক্তির কথা জানা গেলেও তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না তা আগেই জানিয়েছে ভারত। অবস্থাদৃষ্টে প্রতিয়মান হয়, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, স্বার্থ এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো মূলত ভারতের ইচ্ছার উপরই নির্ভর করে। তিস্তার পানিচুক্তি, গঙ্গাচুক্তির বাস্তবায়ন, সীমান্তে বিএসএফ’র হত্যাকাÐ, মাদক চোরাচালান এবং বাণিজ্য বৈষম্য কমিয়ে আনার মত ইস্যুগুলোকে পাস কাটিয়ে এবার কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট’র (সেপা) চুক্তি চুড়ান্ত হতে চলেছে। এ চুক্তির ফলে ভারত-বাংলাদেশ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছে। সীমান্ত বাণিজ্যে কিছু নিত্যপণ্যের উপর ভারত নির্ভরতা আমাদের কতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিতে পারে তা গত এক দশকে বেশ কয়েকবার প্রমান হয়েছে। ধান ওঠার ভরা মওসুমে ভারত থেকে চাল আমদানি করে কৃষকদের পথে বসিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হলেও বিশেষ মুহূর্তে অকস্মাৎ চাল, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মধ্যস্বত্ত¡ভোগীদের দ্বারা সাধারণ মানুষের পকেট থেকে বাড়তি হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার বাস্তবতা আমাদেরকে বলে দেয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য চুক্তি সমমর্যাদা ভিত্তিক না হলে ভারতের সাথে বাণিজ্য নির্ভরতা আমাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রস্তাবিত সেপাচুক্তি সমমর্যাদা ও বাণিজ্যবৈষম্য কমিয়ে আনার পক্ষে অনুকুল না হলে তা বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ ধরণের চুক্তি সম্পাদনের আগে বাণিজ্য বৈষম্যের বিপক্ষে বাণিজ্যিক স্বার্থে যে ধরণের হোমওয়ার্ক ও দরকষাকষির প্রস্তুতি ও সংসদে আলোচনা হওয়ার কথা তার কিছুই হয়নি। সেপা চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি যেন ভারতের কাছে জিম্মিদশায় পরিনত না হয় আমাদের আমলাদের ভ’মিকা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।
দ্বাদশ নির্বাচনের আগে আর মাত্র এক বছর সময় আছে। তিন বছর পর শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরের আগে নির্বাচন ও ক্ষমতায় থাকার ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতার বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের এক বক্তব্য থেকে ব্যাপক আলোচনার বিষয়ে পরিনত হয়েছে। অবশেষে এই প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রীর কোনো হাইপ্রোফাইল বিদেশ সফরে শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাদ পরার ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম। সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া বিষয়ক বক্তব্য, নাকি একে আব্দুল মোমেনের কথিত অসুস্থ্য কোনটা সঠিক তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত হতে পারলাম না। তবে সফরের প্রাককালে পশ্চিমা চাপ সামলাতে নয়াদিল্লীর সহযোগিতার প্রত্যাশা সম্পর্কে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে , তা নি:সন্দেহে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এর মানে কি এই যে, সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার নিজেদের সাজানো সব প্রশাসন বহাল রেখে আবারো একটি একতরফা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে অটল থাকবে? সেখানে বিরোধিদলের যে কোনো ধরণের আন্দোলনকে কঠোর হাতে পুলিশি অস্ত্র ও ছত্রছায়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের সশস্ত্র করে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিয়ে হামলা-মামলার পুরনো পথ বেছে নিলেও পশ্চিমাদের উদ্বেগ ও হস্তক্ষেপ যেন সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে না দেয় পশ্চিমা বিশ্বে ভারত সরকারের শক্তিশালী লবিগুলোকে তা সামলানোর দায়িত্ব দিতে চায় সরকার? তার বিনিময়ে ভারতের স্বার্থের অনুকুল একটি সেপা চুক্তি যদি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক স্বার্থের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে তোলে কিনা দেশের সচেতন মহল তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। বিচ্ছিন্নতা বা বৈরীতা নয়, কথিত সেপা চুক্তি হোক দুই দেশের জন্য উইন উইন অবস্থার আলোকে। যেখানে দেশ মুরুভ’মিতে পরিনত হলে তিস্তার পানি চুক্তিতে ভারত নারাজ, যেখানে ভারত বাংলাদেশের পাটপণ্যের উপর অনৈতিক ডাম্পিং ব্যারিয়ার সৃষ্টি করে রাখে, যেখানে গরুর গোশত রফতানি করে ভারত বছরে হাজার কোটি ডলার আয় করলেও স্থলসীমান্তে বাংলাদেশে গরু রফতানি বন্ধে গুলি করে মানুষ হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সেখানে ভারতের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা নিয়ে সংশয় থাকা অমুলক নয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক স্বার্থের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরের এজেন্ডাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।